ডারবানে শুরু লর্ডসে শেষ-মাশরাফির বিশ্বকাপ

ক্রিকেট, খেলা

এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে | 2023-08-31 01:08:03

এই ম্যাচের আপাতত দুটো নাম। বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান। এবং বিশ্বকাপে মাশরাফির শেষ ম্যাচ! তাও আবার সেই ম্যাচ কোথায়?

লর্ডসে! ৪ জুলাই অনুশীলন শেষে লর্ডসের বিখ্যাত ব্যালকনিতে দাড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ছবিও তুলে রাখলো। এটাই শেষ, আর দেখা হবে না বিশ্বকাপে! আর থাকা হবে না বিশ্বকাপের দলে, ড্রেসিংরুমে, মাঠে।

 যে কোনো বিদায়ে কষ্টের, দুঃখের ছোঁয়া থাকে। বিশ্বকাপে অধিনায়ক মাশরাফির শেষ ম্যাচের সেই আবেগও ছুঁয়ে যাচ্ছে দলের ক্রিকেটারদের। এমনকি ভীষণ বাস্তববাদী কোচ স্টিভ রোডসকেও-‘এই দলের খেলোয়াড়রা মাশরাফিকে ভীষণ সন্মান করে। ভালোবাসে। আমি প্রায়স যোদ্ধা শব্দটা ব্যবহার করি। যোদ্ধা মাশরাফি দলের জন্য যেন যুদ্ধে যায়। তাকে পুরো দল ঠিকভাবে বুঝে। শ্রদ্ধা  করে। মাশরাফি জানিয়েছে এটা তার শেষ বিশ্বকাপ। নিশ্চয়ই শেষ  ম্যাচটা তার জন্যও আবেগপূর্ণ। শেষ ম্যাচে মাশরাফির এই আবেগমন্থিত পরিস্থিতিকে আমিও সন্মান জানাই। কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে এই ম্যাচের দিকে মনোযোগও ঠিকই যাতে রাখে ক্রিকেটাররা, তাও আমাকে নিশ্চিত করতে হবে। দলের ছেলেরা অধিনায়ককের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে সঠিক শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত। তবে সেই সঙ্গে তারা মাঠের খেলার প্রতিও তেমনিই মনোযোগী।’

লর্ডসের প্রাঙ্গন, বাইরের অংশ। ভেতরের সবুজ গালিচা। চারধারের সাদা গ্যালারি। ড্রেসিংরুমের ব্যালকনি। ঐতিহ্যের সঙ্গে সৌন্দর্য্যরে মেলবন্ধন-এখানে খেলতে নামার আগে পা রাখলেই অন্য এক ক্রিকেটীয় আবেগে উথলে উঠেন ক্রিকেটাররা। সেই আবেগ আরো বেশি উন্মাতাল করছে-বিশ্বকাপে এটি মাশরাফির শেষ বলেই। তবে এই আবেগ সামলে নিয়ে এই ম্যাচে জিতে ফেরার কথাই বলছেন কোচ স্টিভ রোডস-‘আশা করছি এই মাঠ থেকে আমাদের দলটা একটা সুখকর মূহূর্ত নিয়ে ফিরবে। কেউ হারতে চায় না। হারা ম্যাচের দুঃস্মৃতিও মানুষ মন থেকে মুছে ফেলতে চায়। লর্ডসের মাঠে খেলা ক্রিকেটার হিসেবে কখনো ভোলার নয়। এখানে খেলতে পারাটা বড় সৌভাগ্য।’

১১ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। ডারবানে কানাডার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলেন মাশরাফি। ৫ জুলাই ২০১৯। লর্ডসে খেলতে নামছেন বিশ্বকাপেরর মাঠে নিজের শেষ ম্যাচ।
ডারবান থেকে লর্ডস-১৬ বছরে চারটি বিশ্বকাপে মাশরাফির পথযাত্রা শেষ। শেষ ম্যাচের আগে পরিসংখ্যানটা এমন-২৩ ম্যাচে ১৯ উইকেট। খুব আহামরি কিছু নয়। কিন্তু ক্রিকেট শুধু পরিসংখ্যান দিয়ে বিবেচ্য নয়।

মাঠে প্রভাব। জেতার জেদ। শূণ্য থেকেও সাফল্য তুলে নেয়া। চোখে চোখ রেখে লড়তে জানা। শিখরে পৌছানোর স্বপ্ন সাজানো। সাধারণ দলকে ক্রমশ অসাধারণে পরিণত করা। হ্যাঁ, নিশ্চিন্তে লিখে দিতে পারি- বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাশরাফি-ই আমাদের সেরা অধিনায়ক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর