প্রতি ম্যাচেই একই দৃশ্য।
সাকিব খেলছেন। রান করছেন। উইকেট পাচ্ছেন। ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার। তিন নম্বরে ব্যাট করে এই বিশ্বকাপে সাকিব যা করেছেন তাতেই বদলে গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চালচিত্র।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। কিন্তু সাকিব পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে যে ব্যাটিং করে গেলেন সেটাই এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা অংশ।
এই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে সাকিবের পারফরমেন্সে মুগ্ধ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাকিব সেই মুগ্ধতাই ছড়িয়ে গেলেন। প্রায় সব ম্যাচে সাকিব একা হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করার পরও বাংলাদেশ সবমিলিয়ে ৮ ম্যাচের মধ্যে জিতলো মাত্র ৩টি ম্যাচ। সাকিব দলের বাকিদের কাছ থেকে তেমন সহায়তাই পেলেন না যে!
বিশ্বকাপ মিশন শেষে অধিনায়ক সেই প্রসঙ্গে বলছিলেন-‘এই ম্যাচেও সাকিব আমাদের ব্যাটিংকে সামনে বাড়াচ্ছিলো। চমৎকার ব্যাটিং করছিলো সে। কিন্তু আমরা বড় কোনো জুটি গড়তে পারিনি। সাকিবের জন্য সত্যিই আমি দুঃখিত। আমরা যদি সাকিবের মতো ঘুরে দাড়াতে পারতাম, তাহলে এই টুর্নামেন্টে আমাদের গল্পটা ভিন্ন কিছু হতো। সাকিব দুর্দান্ত ব্যাট করেছে। চমৎকার বোলিং করেছে। সত্যিকার অর্থেই এই টুর্নামেন্টে সে এক কথায় ফ্যান-টাস-টিকস্! পুরো বিশ্বকাপে সাকিব একা যে ক্রিকেট খেলেছে , তাতে এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলাটা আমাদের উচিত ছিলো। একটা দলের একজন খেলোয়াড় যখন এমন দুর্দান্ত পারফর্ম করে তখন স্বাভাবিকভাবে সেই দলের সেমিফাইনালে খেলার কথা। কিন্তু আমাদের দুভার্গ্য যে আমাদের ক্ষেত্রে সেটা ঘটলো না।’
তিন জয় এবং পাঁচ হারে শেষ করা এই বিশ্বকাপে মাশরাফির আরেকটি আক্ষেপের বিষয় হয়ে রইলো দলের বাজে বোলিং এবং নাজুক ফিল্ডিং। অধিনায়ক বলছিলেন-‘যখন দেখা গেলো যে অন্য কারো কাছ থেকে একটা ভালো ইনিংসের প্রয়োজন, বা একটা ভালো জুটির তাগিদ- সেটা আমরা সেই সময় দাড় করাতে পারিনি। যখন দেখা গেলো যে ভালো ফিল্ডিং করতে হবে, তখনই আমরা ক্যাচ ফেলে দিলাম। এসব জটিলতায় আমাদের ভালো সময়গুলো হারিয়ে গেছে অনেক ম্যাচে।’
বিশ্বকাপ ভালো কাটলো নাকি মন্দ?
টুর্নামেন্ট থেকে বাড়ি ফেরার সময় এই হিসেব মেলাতে বসে অধিনায়ক বললেন-‘আরো ভালো কিছু আমাদের হতে পারতো। লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা জিতে যদি আমরা শেষ করতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। পুরো টুর্নামেন্টে কিছু জিনিষ খুব ভালো হয়েছে। কিছু জিনিস ভালো হয়নি।’