বিশ্বকাপের শুরু থেকেই তিনি আছেন আলোচনার কেন্দ্রে। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই প্যারা কমান্ডোদের ‘বলিদান ব্যাজ’-নিয়ে গ্লাভস পড়ে মাঠে নেমে উস্কে দেন বিতর্ক! তারপর ধীরগতির ব্যাটিংয়ে খোদ শচীন টেন্ডুলকারের সমালোচনার তোপে পড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শেষ বেলাতেও ঠিক একইভাবে কথা উঠল তার ব্যাটিং নিয়ে।
যদিও রবিন্দ্র জাদেজার সঙ্গে তিনিও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শতরানের জুটিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় এনে দেয়নি। ৫০ রানে ফেরেন তিনি। তবে ধোনি কি সত্যিই আউট ছিলেন কীনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
মার্টিন গাপটিলের সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে যেতেই আনন্দে মাতে কিউইরা। কিন্তু ধোনির রান আউট প্রশ্ন করেছেন ফ্যানরা। টুইটারে একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- যে বলটিতে ধোনি আউট হন সেটা বৈধ বল ছিল না! ওয়ানডেতে নিয়ম বলছে, থার্ড পাওয়ার প্লে-তে ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে থাকতে পারেন পাঁচজন ফিল্ডার। ধোনি যে বলে রান আউট হয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে- নিউজিল্যান্ডের ৬ ফিল্ডার ৩০ গজের বৃত্তের বাইরে ছিলেন!
তারপরও চেষ্টা করেছিলেন ধোনি-জাদেজা। তৈরি হয়েছিল জয়ের সম্ভাবনাও। কিন্তু শেষ অব্দি পারেন নি দু'জন। অবশ্য জাদেজার চেয়ে কিছুটা ধীরগতিতে খেলেছেন। ৭২ বলে ৫০ রানে ফেরেন তিনি। আর জাদেজার ব্যাটে ৫৯ বলে ৭৭। অনেক ভক্ত অবশ্য ধোনিকেও হারের জন্য দায়ী করছেন।
এনিয়ে ভারত অধিনায়ক কোহলি বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় ধোনির জন্যই জাদেজা ফ্রি ক্রিকেট খেলতে পেরেছে। একটা প্রান্ত ধরে রেখেছিল ধোনি। পরিস্থিতি বুঝে ওকে একটা বিশেষ ভূমিকা দেওয়া হয়েছিল। ওরা ১০০ রানের জুটি গড়েছে। আসলে বাইরে থেকে সমালোচনা করাটা সহজ। অস্বীকার করছি না যে- আমরা ভুল করিনি। কিন্ত টাও ঠিক আমরা সমালোচনা একটু বেশিই করি।’
এ অবস্থায় ধোনির অবসর প্রসঙ্গটাও এসে যাচ্ছে সামনে। ৩৮ বছর বয়সী ধোনির এটি যে শেষ বিশ্বকাপ সেটি বলার প্রয়োজন পড়েনা। এমন কী ক্যারিয়ারেরও শেষ হতে পারে। এই প্রসঙ্গে কোহলিও রহস্যই রাখলেন, ‘দেখুন, ধোনি এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে আমাদের কিছুই বলেনি।’