বেশ কয়েকজন ছিলেন তালিকায়। সাকিব আল হাসান, রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্ক ও জোফরা আর্চার। তবে সবাইকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতলেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
শুধু ব্যাটিংয়েই যে বিশ্বকাপ জুড়ে ধারাবাহিক ছিলেন তা নয়। নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তুলে আনার পেছনে তার কৃতিত্ব সবচেয়ে বড়ো। দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করেছেন বিশ্বকাপ জুড়ে কেন উইলিয়ামসন। ৫৭৮ রান করেছেন। ম্যাচের বিভিন্ন সময় অধিনায়ক হিসেবে তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেভাবে পুরো বিশ্বকাপে তার দলকে পরিচালিত করেছেন। মাথা ধীরস্থির রেখেও যে ক্রিকেট খেলা যায়- কোনো ধরনের বাগাড়ম্বতা না করেও যে ফাইনালে দলকে তুলে আনা যায়, সেটাই করে দেখিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
টুর্নামেন্টের সেরা অধিনায়কের কোনো পদক নেই। যদি থাকতো তবে নিঃসন্দেহ কেন উইলিয়ামসন জিততেন সেই পদকও!
দুটো বিশ্বকাপে খেলেছেন। দুবারই রানার্সআপ হয়েছেন। গেলোবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরেছিলেন। সেই বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দলের সাধারণ সদস্য। চারবছর পরে এবারের বিশ্বকাপে দলের অধিনায়ক। আর এবারোও বিশ্বকাপের ফাইনালে খেললেন। এবং আরেকবার রানার্সআপ!
ম্যাচের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কখনো আম্পায়ারের সঙ্গে তাকে তর্ক করতে দেখা যায়নি। স্পোর্টসম্যানশিপ স্পিরিট নিয়ে তিনি সত্যিকার অর্থে দেখিয়েছেন ক্রিকেট এখনো ভদ্রলোকের খেলা।
ফাইনালে সুপার ওভারে হারের দুঃখ প্রসঙ্গে উইলিয়ামসন বলছিলেন-‘আসলে এটা নেহাৎ এক রানে হারের বিষয় না। পুরো ম্যাচে আরো অনেক কিছু ঘটেছে সেটা আমাদের পক্ষেও যেতে পারতো। কিন্তু ইংল্যান্ডের পক্ষে গেছে। ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। চমৎকার একটা অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করেছে তারা। ফাইনালের উইকেট একটু অন্যরকম ছিলো। আমরা যেমন আশা করছিলাম তেমন উইকেট ছিলো না এটা। তবে যেভাবে আমার দল লড়াই করেছে সেজন্য পুরো নিউজিল্যান্ড দলকে ধন্যবাদ! এমনভাবে ফাইনাল হেরে খেলোয়াড়রা এখন মন খারাপ করে বসে আছে। তবে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে আমার দল।’