হেডিংলিতে রীতিমতো দুঃস্বপ্ন সঙ্গী হয়েছে ইংল্যান্ডের। অথচ উইকেটে তেমন রহস্য ছিল কোথায়? দিনের আলোতে ঠিকঠাক খেলতে পারলে ঠিকই আরও কিছুটা সময় উইকেটে কাটিয়ে দিতে পারতেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু রোদ ঝলমলে দিনেই দেখা মিলল অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত বোলিং। কিন্তু তাই বলে মাত্র ৬৭ রানে অলআউট? হিসাবটা ঠিক মিলছে না!
অথচ এর আগে অজিদের ১৭৯ রানে অলআউট করে হাসিমুখে সাজঘরে ফিরেছিল ইংলিশরা। কিন্তু এরপর ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সর্বনাশ। সব মিলিয়ে অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লিড ১১২ রান।
এরপর ব্যাট করতে নেমে পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা দিন শেষ করে ৬ উইকেটে ১৭১ রানে। দুই ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার লিড এখন ২৮৩ রান।
হেডিংলি টেস্টে বেশ দাপটই ছিল ইংল্যান্ডের। নিজেদের মাঠে বোলারদের ম্যাজিকে অজিদের চেপে ধরেছিল তারা। কিন্তু সেই হাসিমুখটা শেখ অব্দি থাকল না। কারণ শুক্রবার একশ রানের আগেই যে শেষ তাদের প্রথম ইনিংস। আরেকটু হলে অজিদের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ম রানের লজ্জায় পড়তে যাচ্ছিল তারা।
১৯৪৮ সালে ওভালে মাত্র ৫২ রানে অলআউট হয়েছিল ইংল্যান্ড। যা কীনা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাদের সর্বনিম্ন ইনিংস। এবার ২৭.৫ ওভার খেলে দল তুলল ৬৭ রান। বিস্ময়কর হলেও সত্য দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন শুধু জো ডেনলি (১২)।
সেই দুঃস্বপ্নের পথেই যাত্রা হয়েছিল ইংলিশদের। জশ হেইজেলউড বোলিং তোপে তছনছ ব্যাটিং লাইন আপ। এই পেসার শিকার করেন ৫ উইকেট। গতির ঝড় তুলে কম যান নি প্যাট কামিন্সও। তিনি নেন ৩ উইকেট। দুটি উইকেট শিকার করেন জেমস প্যাটিনসন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৭৯/১০
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৭.৫ ওভারে ৬৭/১০ (বার্নস ৯, রয় ৯, রুট ০, ডেনলি ১২, স্টোকস ৮, বেয়ারস্টো ৪, বাটলার ৫, ওকস ৫, আর্চার ৭, ব্রড ৪*, লিচ ১; কামিন্স ৩/২৩, হেইজেলউড ৫/৩০, প্যাটিনসন ২/৯)।
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৭১/৬ (হ্যারিস ১৯, ওয়ার্নার ০, খাজা ২৩, লাবুশেন ৫৩*, হেড ২৫, ওয়েড ৩৩, পেইন ০, প্যাটিনসন ২*; ব্রড ২/৩৪, ওকস ১/৩৪, লিচ ১/৪৬, স্টোকস ২/৩৩)