সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যেতে শ্রীলঙ্কা এখনো আশাবাদী। তবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এখন অপেক্ষা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্রের জন্য। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে দুদলের।
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি মোহান ডি সিলভা বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জানান, আয়োজক পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট তিনি। কিন্তু সন্ত্রাসী হামলার হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
২০০৯ সালের মার্চে পাকিস্তান সফরে টেস্ট ম্যাচ চলাকালে লাহোরে শীলঙ্কান ক্রিকেট দলের ওপর হামলা করেছিল সন্ত্রাসীরা। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে ছয়জন লঙ্কান ক্রিকেটার আহত হয়ে ছিলেন। তবে পাকিস্তান পুলিশের ছয় সদস্যসহ নিহত হয় আট জন।
শ্রীলঙ্কার পাকিস্তান সফরের সকল প্রস্তুতি ঠিকঠাক ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু লঙ্কান প্রধানমন্ত্রীর অফিস নিজেদের দেশের ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার হুমকির নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ায় সফরটা এখন ঝুলে গেছে। আদৌ হবে কীনা তা নিয়ে দেখা দিয়ে অনিশ্চয়তা।
হুমকি পাওয়ার পর পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়নের জন্য সরকারের কাছে সহায়তা চেয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।
পাকিস্তান সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে না তারা। তবে অতিথি দলের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
হুমকি পাওয়ার আগেই লাহিরু থিরিমান্নে ও দাসুন শানাকার নেতৃত্বে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি দল ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
নিরাপত্তাহীনতার কারণে লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিমুথ করুনারত্নেদের মতো দশজন তারকা ক্রিকেটার পাকিস্তান সফর থেকে অবশ্য আগেই নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
২৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ও ৩ অক্টোবর করাচির মাঠে গড়ানোর কথা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। লাহোরে সমান সংখ্যাক টি-টুয়েন্টি ম্যাচ হওয়ার কথা ৫, ৭ ও ৯ অক্টোবর। ডিসেম্বরে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তান আয়োজন করতে চায় টেস্ট সিরিজ।