ওপেনিং জুটিতে উঠলো ৯.৪ ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলল ৮৪ রান। রান রেটের এই গতি জানাচ্ছিল ২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ২০০ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামল ১৬৫ রানে।
শুরুর ঝড়ের সঙ্গে শেষের হিসেব ঠিক মিলল কি? ম্যাচ শেষে মিলবে সেই প্রশ্নের উত্তর। তবে টি- টোয়েন্টির শ্রীলঙ্কা যে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ তা প্রথম ম্যাচেই ঠিকই টের পেল পাকিস্তান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান টসে জিতে বোলিং বেছে নেয়। দানুস গুনাথিলাকা ও আবিস্কা ফার্নান্ডোর ওপেনিং জুটিতে শ্রীলঙ্কা ১০ ওভারের মধ্যে ৮৪ রান তুলে। গুনাথিলাকা মাত্র ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় সাজানো ছিল তার এই ইনিংস। আবিস্কা ফার্নান্ডো অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে সামনে বাড়েন। তার ৩৪ বলে ৩৩ রানের ইনিংস ঠিক টি- টোয়েন্টি ঘরানার সঙ্গে ঠিক খাপ খায় না। ওয়ানডাউনে ভানুকা রাজাপাকসা ২ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ২২ বলে ৩২ রান তুলেন। অধিনায়ক দানুস শানাকা ১০ বলে ১৭ রান তুলে আউট হলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস খুব বেশিদুরে যাওয়ার রাস্তা হারিয়ে ফেলে!
২০ ওভারে ১৬৫ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ হাসনাইন ম্যাচে পাকিস্তানের সেরা বোলার। নিজের দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টিতে খেলতে নামা এই তরুণ ৩৭ রানে ৩ উইকেট পান।
বোলিংয়ের শুরুটা পাকিস্তানের ভাল না হলেও শেষ পাঁচ ওভারে তারা দাপট দেখায়। শেষ পাঁচ ওভারে শ্রীলঙ্কা হারায় ২ উইকেট। কিন্তু রান তুলে মাত্র ৩০। এর মধ্যে ১৭ ওভারে শুধু তারা ১৫ রান আদায় করে। এই সময়ের বাকি ওভারগুলোতে রান পায় তারা সিঙ্গেল ডিজিটের!
শেষের এই মন্থর ব্যাটিংই শ্রীলঙ্কার স্কোরকে রান চুড়ায় পৌছাতে দেয়নি। শুরুর ১০ ওভারে ৮৪ রান তোলা শ্রীলঙ্কা বাকি ১০ ওভারে রান পায় মাত্র ৮১!
শ্রীলঙ্কা: ১৬৫/৫ (২০ ওভারে, গুনাথিলাকা ৫৭, ফার্নান্ডো ৩৩, রাজাপাকসা ৩২, শানাকা ১৭, হাসনাইন ৩/৩৭)।