নারী ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর নিয়ে আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। নিকট ভবিষ্যতে অনূর্ধ্ব ১৬ দলেরও যাওয়া কথা পাকিস্তানে। জানুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার কথা সাকিব আল হাসানদের। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান তো তাই বলছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে? পাকিস্তান সফর কতটা নিরাপদ। অবশ্য এর মধ্যে লঙ্কানরা পাকিস্তানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ইতিবাচক একটা বার্তা দিয়েছে। তাই পাকিস্তান সফর নিয়ে বাংলাদেশও সামনে আগানোর চিন্তা-ভাবনা করছে।
তার অংশ হিসেবে পাকিস্তানে চার সদস্যের নিরাপত্তা দল পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পরখ করতেই বৃহস্পতিবার করাচি পৌঁছেছে প্রতিনিধি দল। তবে এ দলে বিসিবি থেকে কাউকে নেওয়া হয়নি। চার জনই সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিনিধি।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ২৩ অক্টোবর পাকিস্তানে যাওয়ার কথা দেশের নারী ক্রিকেটারদের। চলতি মাসের শেষ দিকে অনূর্ধ্ব ১৬ দল পাঠানোর পরিকল্পনাও আছে বিসিবির। কিন্তু তাদের যাওয়া না যাওয়া নির্ভর করছে করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ ও লাহোর সফর শেষে পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনের ওপর।
নারী ক্রিকেটাররা এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তান সফর করলেও জাতীয় দল যাচ্ছে না ২০০৮ থেকে।
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো পাকিস্তান সফর থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়। পাকিস্তান হোম সিরিজ খেলতে থাকে নিরপেক্ষ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে। তবে ধীরে ধীরে এ দৃশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে।