ক্রিকেট জুয়াড়িদের কবল থেকে ক্রিকেটকে রক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জোরদার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। সেই চেষ্টারই অংশ হিসেবে প্রকাশ্যে এবং গোপনে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) কাজ করে যাচ্ছে। চিহ্নিত কোন ক্রিকেট জুয়াড়ি কোন ক্রিকেটারের সঙ্গে টেলিফোন বা অন্য উপায়ে যোগাযোগ রাখছে কিনা- সেদিকে আকসুর কড়া নজর আছে।
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে বছর দুয়েক আগে যে কালো তালিকায় থাকা একজন ক্রিকেট জুয়াড়ি টেলিফোনে কথা বলেছে- সেটা ফোন কল ট্র্যাক করে আকসু জানতে পারে। সেসময় শুধু সাকিব নয়, বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকেও আকসুর জেরার সামনে দাঁড়াতে হয়। বার্তাটোয়েন্টিফোরকে মুশফিকের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছে, আকসু মুশফিকুরের কাছেও জানতে চায়-তাকেও কোন ক্রিকেট জুয়াড়ি ফোন করেছে কিনা। মুশফিক জানান-না তিনি অমন কারো কাছ থেকে কোন ফোন কল পাননি। আকসু তখন বাড়তি পর্যবেক্ষণের জন্য মুশফিকের মোবাইল ফোন চায়। সেই ফোনের কললিস্ট পরীক্ষা করে। তারপর নিশ্চিত হয় মুশফিকের মোবাইলে অমন কোন কল আসেনি।
সেই সময় সাকিব কোন ক্রিকেট জুয়াড়ির ফোন কল পাওয়ার কথা অস্বীকার করলেও পরে আইসিসি যখন তার সামনে কললিস্ট হাজির করে তখন নিজের ভুল বুঝতে পারেন সাকিব। নিজের পক্ষে তখন সাকিব যুক্তি দাঁড় করান এভাবে-‘ব্যাপারটাকে আমি তেমন গুরুত্ব দিতে চাইনি, তাই আইসিসিকে বিষয়টি অবহিত করিনি।’
ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত আইসিসির যে বিধিবিধান আছে সেখানে স্পষ্ট করে লেখা আছে- কোন ক্রিকেট জুয়াড়ি যদি কোন ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেয় বা তার সঙ্গে কোনভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাহলে সেটা তৎক্ষণাৎ আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (আকসু) জানাতে হবে। সাকিব সেটা না জানিয়ে বড় ভুল করেছিলেন। আর পরে আকসু’র কাছে ক্রিকেট জুয়াড়ির ফোন পাওয়ার কথা অস্বীকার করে সেই ভুলের মাত্রা আরো বাড়িয়েছেন।
তারই শাস্তি হিসেবে এখন তার সামনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা ঝুলছে।
আরও পড়ুন-