নাঈমের ব্যাটে বাংলাদেশের চোখে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন!

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-25 22:39:00

শুরুর ছয় ওভার তেমন ভাল কিছু হয়নি। কিন্তু ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর যেখানে দাঁড়ায় সেখান থেকে শুরু হয় নতুন স্বপ্ন-ম্যাচ ও সিরিজ জেতার স্বপ্ন! ইনিংসের প্রথম ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৭৪ রান। একটু জানিয়ে দেই-নিজেদের ইনিংসের এই সময়টায় ভারত তুলেছিল ২ উইকেটে ৭১ রান।

অর্থাৎ শুরুর দশ ওভারে ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়েই ছিল। আর এই এগিয়ে থাকার জন্য বড় একটা ধন্যবাদ পেতে পারেন তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। দুই সিনিয়র লিটন দাস ও সৌম্য সরকার শুরুতে ফিরে যাওয়ার পরও যে কায়দায় দলের ইনিংসকে সামনে টেনে নেন এই তরুণ, সেটা প্রশংসনীয়। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেই হাফসেঞ্চুরির দেখা পেলেন এই ওপেনার। মাত্র ৩৪ বলে করলেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় আসে তার এই হাফসেঞ্চুরির ইনিংস।

দলীয় ১২ রানের মাথায় ২ উইকেট হারানোর পর নাঈম ইসলামের ব্যাট বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের স্বপ্নকে সবুজ করে তোলে। অভিজ্ঞ যুজবেন্দ্র চাহালকে যেভাবে তিনি ‘পিটুনি’ দেন- সেটাই পুরো বাংলাদেশ দলের সাহস বাড়িয়ে দেয়। মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ৯৮ রানের জুটি গড়েন।

চাহাল তার শুরুর তিন ওভারে খরচা গুনেন ৩৮ রানের। হাফসেঞ্চুরির পর নাঈম ব্যাট হাতে আরো তেজি হয়ে উঠেন। মাত্র ৪০ বলে পৌঁছে যান ৭১ রানে। যেভাবে খেলছিলেন তাতে তামিম ইকবালের পর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান হওয়ার রেকর্ডটা ডাকছিল তাকে।

মোহাম্মদ নাঈম ও মোহাম্মদ মিঠুন জুটির ব্যাটিংয়ের সময় নাগপুর স্টেডিয়াম জুড়ে যেন পিন পতন নীরবতা নেমে আসে। ২৭ রানে মিঠুন আউট হওয়ার পর কেবল উল্লাস শোনা গেল।

১৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ১১০ রান। ম্যাচ জিততে তখন প্রয়োজন শেষ ৪২ বলে ৬৫ রান। ম্যাচ জয় খুবই সম্ভব এমন একটা অবস্থানে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ এই সময়টায়। ঠিক তখনই আরেকটি বড় ধাক্কা। শিভম দুবের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই মুশফিক বোল্ড! শূন্য রানে ফিরলেন দিল্লি ম্যাচের জয়ের নায়ক।

ম্যাচ জয়ের শেষের হিসেব মেলানোর দায়িত্ব তখন মোহাম্মদ নাঈম ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর