ইডেনে গোলাপি বলে সৌরভ ছড়ানোর অপেক্ষায় রাহি

ক্রিকেট, খেলা

আপন তারিক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ইন্দোর (ভারত) থেকে | 2023-08-27 03:36:43

বছরের শুরুতে গোলাপি বল প্রথমে হাতে নিয়েছিলেন তিনি। তখনো অবশ্য ভাবতে পারেননি ভারতের মাঠে এই বলেই দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার সুযোগটা এসে যাবে। ইডেন গার্ডেন্সে দিন-রাতের পিঙ্ক বলের টেস্টের আগে স্মৃতি হাতরে আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি জানাচ্ছিলেন, তার বড় ভাই ইংল্যান্ড থেকে একটা পিঙ্ক বল নিয়ে এসেছিলেন। সেটি অবশ্য পুরাতন বল ছিল। সবকিছু ঠিক থাকলে ইডেনে নতুন বলই হাতে পাবেন এই পেসার।

ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশ হারলেও হারেননি রাহি। ১০৮ রানে নেন ৪ উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা শিকার করেন বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মার উইকেট। এই সাফল্য বেশ অনুপ্রাণিত করছে বাংলাদেশের এ পেসারকে। কলকাতার নন্দন কাননে এবার গোলাপি বলে সৌরভ ছড়াতে চান তিনি।

তার আগে রোববার ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে গোলাপি বলে ঘাম ঝরানো অনুশীলন করল বাংলাদেশ দল। পিঙ্ক বলটা বুঝে নিতে চেষ্টা করলেন আবু জায়েদ রাহি। ঢাকায় থাকতে অবশ্য এই বলে অনুশীলন করা হয়নি।

বলা হচ্ছে পিঙ্ক বলটা বাড়তি সুইং থাকবে। যদিও এনিয়ে কোনো অভিজ্ঞতা থাকার কথা নয় রাহির। কারণ রোববারই তো প্রথম বল করলেন। একই অবস্থা ভারতেরও। তারাও প্রথমবারের মতো খেলবে দিন-রাতের গোলাপি বলের টেস্ট। রাহি জানাচ্ছিলেন, 'ভালো করে অনুশীলন করলেই বুঝতে পারব সুইং আছে কীনা। দুই দলই নতুন। যারা ভালো খেলবে তারাই রেজাল্ট পাবে। আমরা আশাবাদী।'

ইন্দোরে বল হাতে বেশ সুইং পেয়েছেন আবু জায়েদ। নিয়ন্ত্রণও ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই জানাচ্ছিলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাতে হলে নজর দিতে হবে ভালো লেংথ এবং লাইনে। বলেন, 'লেংথ এবং লাইন হচ্ছে টেস্ট বোলারদের জন্য বড় শক্তি। ওই জায়গায় বল করতে ব্যাটসম্যানরা ভুল করতে কিন্তু সুযোগ তৈরি হয়।'

অবশ্য ভারতের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত শিখছেন আবু জায়েদ। ইন্দোরে প্রতিপক্ষের বোলার মোহাম্মদ শামির টিপসও নিয়েছেন তিনি। জানাচ্ছিলেন, 'ওনারা সিনিয়র। অনেক টেস্ট খেলেছে। যেমন (মোহাম্মদ) শামি ভাই। তার সঙ্গে কালকেও কথা বলেছি আমি। যেহেতু শামি ভাইয়ের সঙ্গে আমার কিছুটা মিলে, সিমিং। দুজনই সিমিং বোলার। ওনার বল আমি অনেক সময় দেখেছি। মাঠের ভেতরে যখন ছিলাম তখন শামি ভাইয়ের বল মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। মাঝে মাঝে হাইটও মিলিয়েছি, যে আমার থেকে হাইট বেশি না সমান হয়। তখন নিজের মধ্যে এই হয়েছে যে হয়তো বা শামি ভাইয়ের মতো বোলিং করতে পারব।'

যদিও বাংলাদেশ দলে পেসারদের কদর কোথায়? দেশের মাঠে পেসার ছাড়াও তো মাঠে নামার নজির আছে। ইন্দোরের উইকেটে ভারত যেখানে তিন পেসার খেলিয়েছে, বাংলাদেশ নামল দু'জন নিয়ে। এনিয়ে অবশ্য হতাশা নেই আবু জায়েদের। এই পেসার কোড অব অব কন্ডাক্টের কারণেই কীনা কে জানে প্রশ্নটা এড়িয়েই গেলেন!

আবু জায়েদ রাহি এতো কিছু ভাবতে রাজি নন, শুধু সুযোগের অপেক্ষাতেই আছেন তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর