এসিসি ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে শুরু থেকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ব্যাট-বল হাতে সৌম্য সরকারের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দেশের ছেলেরা দাপুটে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল সেমিফাইনালেও। শেষ চারের লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। এবং তা ৬১ বল হাতে রেখেই।
দুরন্ত এ জয়ের সুবাদে টুর্নামেন্টের ফাইনালের টিকিট কেটেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ২৩ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান অনূর্ধ্ব ২৩ দল।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে আফগানিস্তান। দারবিশ রাসূলির সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তোলে আফগানরা।
৭ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায় ১২৮ বলে ১১৪ রানের অসাধারণ এক ক্রিকেটীয় ইনিংস খেলেন রাসূলি। তার সঙ্গে ওয়াহিদুল্লাহ শাফাক ৩৪ ও তারিক স্তানিকজাই করেন ৩৩ রান।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও সৌম্য সরকার। দুটি উইকেট নেন তানভির ইসলাম।
জবাবে ৩৯.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ২২৯ রানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ২৩ দল। বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও জ্বলে উঠা ম্যাচ সেরা সৌম্য সরকার (৬১) ও ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৯) দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন।
পরে দলের জয় নিশ্চিত করে তবেই মাঠ ছাড়েন আফিফ হোসেন (৪৫*) ও ইয়াসির আলি (৩৮*)।
আফগানদের হয়ে দুটি উইকেট নেন আব্দুল ওয়াসি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আফগানিস্তান ইমার্জিং দল: ২২৮/৯, ৫০ ওভার (রাসূলি ১১৪, শাফাক ৩৪, তারিক ৩৩; মাহমুদ ৩/৪৮, সৌম্য সরকার ৩/৫৮ ও তানভির ২/৩৩)।
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ২২৯/৩, ৩৯.৫ ওভার (সৌম্য ৬১, শান্ত ৫৯, আফিফ ৪৫* ও ইয়াসির ৩৮*; ওয়াসি ২/৪৬ ও আজমাতুল্লাহ ১/৪০)।
ম্যাচ সেরা: সৌম্য সরকার।
ম্যাচ ফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৭ উইকেটে জয়ী।