গত দুইবার সেমিফাইনালে পৌঁছেও এসিসি ইমার্জিং টিমস কাপের ফাইনালে খেলা হয়নি বাংলাদেশের। এবার গ্রুপ পর্ব ও শেষ চারে প্রতিপক্ষদের গুড়িয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। না, এবারও হলো না। ফাইনালে এসে জুনিয়র টাইগারদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দিল পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব ২৩ দল।
শনিবার, ২৩ নভেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের যুবারা ৭৭ রানে হারল পাকিস্তানের কাছে। গ্রুপ পর্ব ও শেষ চারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও ফাইনালে বাংলাদেশ কেন পারল না সেটাই এখন প্রশ্ন।
গত দুই আসরের শেষ চারের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ধরাশায়ী হয়েছিল শ্রীলঙ্কার কাছে। এবছর ফাইনালে দেশের ছেলেদের হাসি কেড়ে নিল পাকিস্তান। অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের ফাইনাল ভাগ্যটাই খুব একটা পয়া নয়। তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সিনিয়র টাইগারদের। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালেও তারা পারেনি শিরোপা ছিনিয়ে নিতে।
টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। রোহেল নাজিরের সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে অতিথি দলটি।
১২ বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ১১৩ রানের দাপুটে এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ম্যাচ সেরা রোহেল। তার সঙ্গে ইমরান রফিক ৬২ ও সাউদ শাকিল করেন ৪২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সুমন খান ৩টি ও হাসান মাহমুদ ২টি উইকেট নেন।
জবাবে ৪৩.৩ ওভারে ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায় দেশের ছেলেদের ইনিংস। স্বাগতিকদের হয়ে আফিফ হোসেন ৪৯, নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৬ ও মেহেদী হাসান ৪২ রান সংগ্রহ করেন।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ হাসনাইন শিকার করেন তিন উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন খুশদিল শাহ ও সাঈফ বাদার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান এমার্জিং দল: ৩০১/৬, ৫০ ওভার (রোহেল ১১৩, ইমরান ৬২, শাকিল ৪২; সুমন ৩/৭৫ ও মাহমুদ ২/৫২)।
বাংলাদেশ এমার্জিং দল: ২২৪/১০, ৪৩.৩ ওভার (আফিফ ৪৯, শান্ত ৪৬, মেহেদী ৪২; হাসনাইন ৩/৩২, সাঈফ ২/২৭ ও খুশদিল ২/৩৯)।
ম্যাচ সেরা: রোহেল নাজির (পাকিস্তান)।
সিরিজ সেরা: সৌম্য সরকার (বাংলাদেশ)।
ম্যাচ ফল: পাকিস্তান এমার্জিং দল ৭৭ রানে জয়ী।
টুর্নামেন্ট ফল: পাকিস্তান এমার্জিং দল চ্যাম্পিয়ন।