পাপন জানতেন টস জিতলে শুরুতে বোলিং নেবে বাংলাদেশ!

ক্রিকেট, খেলা

আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কলকাতা (ভারত) থেকে | 2023-09-01 12:27:03

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে কখনোই পিছপা হন না তিনি। যে কোন ইস্যুতেই সরব। ইডেন গার্ডেন্সেও নাজমুল হাসান পাপন মুখোমুখি হলেন সাংবাদিকদের। শনিবার দিন শেষে বাংলাদেশ যখন গোলাপি বল টেস্টে হারের দ্বারপ্রান্তে তখন হতাশা নিয়ে নানা কথা বললেন তিনি। বরাবরের মতো বিতর্ক উস্কে দেওয়া কথা শোনালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান।

ইডেন গার্ডেনে দাঁড়িয়ে নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, টস জিতে মুমিনুল ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে চমকে গেছেন তিনি। বলেন, ‘দেখুন, ব্যাটিং নেওয়ায় সত্যিই আশ্চর্য হয়েছি। আগের দিনও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। কোচ-অধিনায়ক দুজনই বলেছিল ফিল্ডিং নেবে। এটা নিশ্চিত ছিল। টস জিতে যখন দেখেছি ব্যাটিং নিয়েছি, তখনই ধাক্কা খেয়েছি।’

কেন এমনটা হয়েছে বোর্ড প্রধান জানেন না। তিনি আরও বলছিলেন, অতি আত্মবিশ্বাসের কারণে কিনা জানি না। ভারতীয়দের যার সঙ্গেই কথা বলেছি, বলেছে তারা প্রথমে ফিল্ডিং নিত। ওরা ব্যাটিং কখনোই নিত না। সতেজ উইকেট। গোলাপি বল কেমন আচরণ করে সেটা না বুঝে ভারত আগে ব্যাটিং নিত না। সিদ্ধান্ত ভুল তা বলছি না, তবে ব্যতিক্রমধর্মী। এটা হওয়ার কথা ছিল না। আগের দিন দলের সাথে কথা বলেছি, বলেছে ফিল্ডিং নিবে। আমি এটাই জানতাম। অবাক হয়েছি।’

একইভাবে দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হয়েছেন নাজমুল। বলছিলেন, 'সিনিয়রদের ব্যাপারে ধারণা ছিল ভালো বল মোকাবেলা করতে পারবে। প্রত্যাশামত কিছুই পাইনি। প্রথম ইনিংস তো ভালো হয়নি, দ্বিতীয় ইনিংসও হয়নি। মুশফিক-রিয়াদে আশার আলো দেখা যাচ্ছিল, । দুর্ভাগ্যবশত রিয়াদ এখন সিরিয়াস ধরনের ইনজুরিতে। দোয়া করছি তাড়াতাড়ি যাতে ভালো হয়ে যায়। ভালো হয়ে গেলে কালকে খেলতে পারবে না।’

দলে ইনজুরি সমস্যা আছে। লড়াইয়ে নামার আগেই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর সাইফ হাসান ছিটকে গিয়েছিলেন আগেই। তারপরও তাদের বিকল্প নেয়নি দল। এরপর লিটন দাস ও নাঈম হাসান কলকাতা টেস্টে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তাদের বদলে খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

এ অবস্থায় একজন চোটে পড়লে পানি টানার ক্রিকেটারও পাওয়া যাবে না। ব্যাপারটা নিয়ে সমালোচনায় মুখর অনেকেই। এনিয়ে নাজমুল হাসান জানাচ্ছিলেন, 'এখানে ব্যাপারটা তা ছিল না। আমাদের আর দুটাে খেলা চলছে। বিশেষ করে ইমার্জিং কাপ চলছিল। আজকে (শনিবার) ফাইনাল ছিল। এজন্য ওখান থেকে কাউকে আনতে চাইনি। আমাদের ব্যাকআপ ছিল। কিন্তু ওরা স্কোয়াডে থাকলেও সুযোগ পেত? যারা একাদশে সুযোগ পেয়েছে ওরাই পেত। দুজন যে ইনজুরড হবে এটা তো আগে চিন্তা করিনি। ঐ চিন্তা করে করতে গেলে তো অনেক লম্বা স্কোয়াড করতে হবে। আমাদের সাইফও ছিল। হঠাৎ করেই ওর হাতের ইনজুরি। যখন জানালও ফিট নয়, তখন দেরি হয়ে গেছে। এখানে খেলোয়াড় আনলেও কাকে কার জায়গায় রাখতাম?'

নাজমুল হাসান যতোই ব্যাপারটা সহজ দৃষ্টিতে দেখুন, এটা যে পেশাদারি আচরণ হয়নি এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট!

এ সম্পর্কিত আরও খবর