হ্যামস্ট্রিং চোট, বিশ্রাম না নিলে বিপদ বাড়বে মাহমুদউল্লাহ’র

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-21 12:13:13

হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্য নতুন কোনো বিষয় নয়। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েও খেলে যান। আর তাতেই বিপদ আরও বাড়ে। মাঝে লম্বা সময় পেলেও ভারতের বিপক্ষে বার্মিংহামে ম্যাচটা ঠিকই মিস করেন তিনি। ভারত সফরে ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস থেকেও রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির জন্য। সামনেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ব্যস্ততা শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে এবারের বিপিএলে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিছু দিনের মধ্যেই দলের অনুশীলন শুরু হচ্ছে। তবে অনুশীলন পর্বের শুরুটা নিশ্চিতভাবেই মিস করছেন তিনি।

বিসিবির চিকিৎসক ড. দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন- ভারত সফর থেকে সঙ্গে নিয়ে ফেরা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট থেকে মুক্তি পেতে তাকে আরো অন্তত এক সপ্তাহ পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।

গ্রেড ওয়ান হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়ে ভারত সফর থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দেশে ফিরে এসেছেন গত ২৪ নভেম্বর, রোববার রাতের ফ্লাইটেই।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি এবং তা থেকে মুক্তি ও তার ক্রিকেটের ফেরার সম্ভাব্য সময় নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক ড. দেবাশীষ চৌধুরী মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর সাংবাদিকদের জানান- ‘মাহমুদউল্লাহর ইনজুরিটা হচ্ছে গ্রেড ওয়ান হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি। তার স্ক্যান রিপোর্ট আমরা এখনো হাতে পাইনি। খুব অল্প মাত্রার হ্যামস্ট্রিং হলেও আমরা সাধারণত ফিটনেস ফিরে যেতে ৭ দিনের বিশ্রাম বেঁধে দেই। যাতে এই সময়ের মধ্যে পূর্ণ বিশ্রাম হয়। সঠিকভাবে রিহ্যাব হয়। ফিট না হয়ে খেলায় ফিরলে আবার ইনজুরিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। একই ইনজুরি ওই জায়গাতে হলে তখন সেটা সারতে লম্বা সময় লাগে। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে ওর দ্বিতীয় ইনজুরিটা আটকানো। কারণ একই জায়গায় দ্বিতীয়বার চোট পেলে ফিরতে দ্বিগুণ সময় লাগতে পারে। তখন পূর্ণমাত্রায় মাঠে ফিরে আসতে অন্তত এক মাসের মতো সময় লেগে যায়। আর তৃতীয়বার একই স্থানে চোট লাগলে সেই খেলোয়াড়ের পুরো মৌসুম মিস করার একটা আশঙ্কা থাকে। আর তাই এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত চিকিৎসা পদ্ধতির সঙ্গে আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ হচ্ছে ইনজুরিটা যেন দ্বিতীয়বার না হয় সেটার ব্যবস্থা করা।’

চিকিৎসকের এই পূর্ব সতর্কতাই জানাচ্ছে সামনের পুরো সপ্তাহ এখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের একটাই কাজ- পূর্ণ বিশ্রাম।

ইডেনের দ্বিতীয় ইনিংসে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করতে নেমে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। ১৩ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে সামনের দিকে টেনে নিচ্ছিলেন এই দুই সিনিয়র। কিন্তু ৪১ বলে ৩৯ রান করার পর হঠাৎ পেশিতে টান পড়ায় মাহমুদুল্লাহ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। দ্বিতীয় ইনিংসে তখন ১৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ৮২ রান। চোটের মাত্রা এত বেশি ছিল যে পরদিনও ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ।

ইডেনে সেই টেস্ট বাংলাদেশ হারে ইনিংস ও ৪৬ রানে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর