খেলার মাঠে সতীর্থ খেলোয়াড়কে মারধরের অভিযোগে পেসার শাহাদাত হোসেন ক্রিকেট মাঠে দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ পাঁচ বছর নিষিদ্ধ। শেষ হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে এই অপকীর্তির জন্য শাহাদাত হোসেনকে বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটি এই শাস্তির সঙ্গে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করেছে গত ১৯ নভেম্বর। সেই শাস্তি কমাতে শাহাদাত মঙ্গলবার বিসিবির কাছে আপিল ঠুকেছেন।
বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এই প্রসঙ্গে জানান- ‘শাহাদাত আমাদের কাছে তার শাস্তি কমানোর জন্য আপিল করেছে। আপিলে সে তার দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। তার এই আপিলের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বুধবার, ২৭ নভেম্বর বৈঠকে বসব।’
ম্যাচ চলাকালে খেলার মাঠে সতীর্থকে মারধর। শারীরিকভাবে নির্যাতন ভয়াবহ অভিযোগ। ঢাকা বিভাগের তরুণ খেলোয়াড় আরাফাত সানিকে মাঠে মারধর করেন শাহাদাত হোসেন। খুলনার আবু নাসের চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংঘটিত এই ঘটনায় ম্যাচ রেফারি শিপার তার বিরুদ্ধে ক্রিকেট আইনের লেভেল চার- ভঙ্গের অভিযোগ এনে ছিলেন। সেই সঙ্গে ম্যাচ থেকে তাকে প্রত্যাহারও করা হয়।
ম্যাচে শাহাদাতের অপরাধ বিবেচনা করে বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটি তাকে পাঁচ বছর ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে। শাস্তির শেষের দুই বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থাৎ প্রথম তিন বছর শাস্তি চলাকালের মেয়াদে যদি শাহাদাত বিসিবির নিয়ম-কানুন ও নীতি নির্ধারণ ঠিক মতো মেনে চলেন তাহলে শেষের দুই বছরের শাস্তি তার মওকুফ হবে। পাঁচ বছরের এই নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে এখন শাহাদাত শাস্তি কমানোর যে আপিল করেছেন সেটা গৃহীত হলে তার শাস্তির মাত্রা পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে এক বছর এবং জরিমানার পরিমানও ৫০ হাজার টাকা করা হতে পারে।
এই সম্ভাবনা প্রসঙ্গে মিনহাজুল বলছিলেন-‘ম্যাচ রেফারি তার বিরুদ্ধে ক্রিকেট আইনের লেভেল-চার ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন। এই অভিযোগের সর্বনিম্ন শাস্তি হলো এক বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। যে কোনো পরিস্থিতিতে আমরা তার শাস্তি এরচেয়ে কম করতে পারি না।’
শাহাদাতের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে পূর্ব রেকর্ডও খুব ভালো কিছু নয়। ৩৮ টেস্ট এবং ৫১টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলা এই পেসার ২০১৫ সালে বাসার শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অপরাধে প্রায় দু’মাসের মতো জেলেও ছিলেন। পরে সেই মামলায় আপোস করে জেল থেকে মুক্তি পান। মাঝে রাজধানীর রাস্তায় এক সিএনজি চালককে তিনি মারধর করেন।