হারের মঞ্চটা প্রস্তুত ছিল। লক্ষ্য ছিল শুধুই ইনিংস হার বাঁচানো। সেই লড়াইয়ে সফল হতে পারেনি পাকিস্তান। ফলোঅনে পড়েই সর্বনাশ। অ্যাডিলেডে দিবা-রাত্রির টেস্টে অনায়াস জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তানকে ইনিংস ও ৪৮ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একইসঙ্গে সফরকারীদের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল অজিরা।
গোলাপি বলের টেস্টে ইনিংস হার বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সোমবার নাথান লায়নের ঘূর্ণি বলের সামনে প্রতিরোধের প্রাচীর তুলে দাঁড়ানো হলো না। দল অলআউট ২৩৯ রানে। তার পথ ধরেই দিবা-রাত্রির টেস্টে টানা ৬ ম্যাচ জেতার রেকর্ড গড়ল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল।
একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্ধী থাকল পাকিস্তান। এনিয়ে টানা ১৪ টেস্টে হারল তারা।
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টেস্টে অজিরা জিতেছিল ইনিংস ও ৫ রানে। এরপর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টেও পাকিস্তান পাত্তা পেল না।
অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পাহাড়ে ওঠে যায়। ডেভিড ওয়ার্নারের ট্রিপল-সেঞ্চুরিতে দল ৩ উইকেটে ৫৮৯ রান তুলে ঘোষণা করে ইনিংস। এরপর প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান করে ৩০২। তারপর ফলোঅনে পড়ে চতুর্থদিনে সফরকারীরা অল আউট ২৩৯ রানে।
৩ উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে চতুর্থদিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। এরপর শান মাসুদ ও আসাদ শফিকের ব্যাটে ইনিংস হার বাঁচাতে লড়ে যায় তারা। মাসুদ ১২৭ বলে ৬৮ রান করে ধরেন সাজঘরের পথ। মাসুদ-শফিক গড়েন ১০৩ রানের জুটি ।
এরপর ৫৭ রানে নাথান লায়নের শিকার শফিক। তারপর যা একটু লড়লেন মোহাম্মদ রিজওয়ান (৪৫) ও ইফতিখার আহমেদ (২৭)। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অ্যাডিলেডে চতুর্থবারের ৫ উইকেট শিকার করেন লায়ন। ক্যারিয়ারে ১৬তম পঞ্চম উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার।
তবে ম্যাচসেরা ওয়ার্নার। তার ব্যাট থেকে এই টেস্টেই আসে ৩৩৫ রানের দারুণ এক ইনিংস।
এ অবস্থায় আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে ওঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ ম্যাচে অর্জন ১৭৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ভারত ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। কোন পয়েন্ট না পেয়ে পাকিস্তান আছে ৯ দলের মধ্যে সপ্তমস্থানে।