তাকে ঘিরে কারাতে ফেডারেশনের প্রত্যাশা ছিল। আল আমিন সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন। জিতেছেন স্বর্ণপদক। লড়েছেন তিনি একা। তবে নিজের স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব সবার মধ্যেই ভাগাভাগি করে দিচ্ছেন বাংলাদেশের এই কারাতেকার।
কারাতের কুমি ইভেন্টে ৬০ কেজি ওজনে পাকিস্তানের জাফরকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জেতার পর আল আমিন তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বলছিলেন-‘আমার হাত ধরেই গেমসে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বর্ণপদক জিতল, ভীষণ গর্ববোধ করছি এই আনন্দে। নিজের চেষ্টায় দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি, বিদেশে বাংলাদেশের পতাকা উড়াতে পেরেছি এটা জেনেই আমার অনেক অনেক ভাল লাগছে। এই গেমসে আমি বাংলাদেশকে সবার উপরে দেখতে চাই। দেশের পতাকাকে উর্ধ্বে তুলে ধরতে নিজের চেষ্টার সর্বোচ্চটুকু করে যেতে চাই।’
নিজের এই সাফল্য শুধু তার একার নয়। এই অর্জনের দাবিদার আরো অনেকে। সেই কথাই বললেন স্বর্ণজয়ী এই বাংলাদেশি কারাতেকার-‘আমার পিতামাতা, আমার শিক্ষক, আমার কোচ এবং ফেডারেশনের সবাই আমি এই স্বর্ণপদক উৎসর্গ করতে চাই। এরা সবাই আমার সাফল্যের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছে। এদের সবার সম্মিলিত চেষ্টা ও পরিশ্রমেই আমি আজ এই স্বর্ণপদক জিততে পেরেছি।’
চলতি গেমসে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিনটি স্বর্ণপদক জিতেছে। দীপু চাকমা তায়কোয়ান্দোতে সোমবার, ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে প্রথম স্বর্ণপদক উপহার দেন। মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর কারাতেকার আল আমিন এনে দেন দ্বিতীয় স্বর্ণপদক। একইদিন ঘন্টাখানেক পর তৃতীয় স্বর্ণপদক জয়ের সুখবর পায় বাংলাদেশ। মেয়েদের কুমিতে অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজি ওজনে স্বর্ণ জেতেন বাংলাদেশের মারজানা আক্তার পিয়া।