স্বপ্নের সেমিতে ইংল্যান্ড নাকি সুইডেন?

, খেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-06-09 05:36:08

 

বিশ্লেষকরা তাদের নাম দিয়েছেন 'কাগুজে বাঘ।' কারণটাও সংগত, প্রতিবারই বিশ্বকাপে ফেভারিট হয়েই পা রাখে দলটি। শক্তিশালী ইংলিশ মিডিয়ার কল্যানে যতোটা গর্জে উঠে, মাঠে ততোটা বর্ষেনি কখনোই! সেই যে ১৯৬৬ সালে সর্বশেষ ট্রফি হাতে উঠেছে এরপর ব্যর্থতাই বারবার সঙ্গী হয়েছে তাদের। একাধিক তারকা উপহার দিলেও এরপর আর বিশ্বমঞ্চে তেমন কিছুই করে দেখানো হয়নি। কিন্তু ৫২ বছর পর আবার আশায় বুক বাঁধছেন ইংলিশ হুলিগানরা! স্বপ্নপূলন থেকে খুব বেশি দুরে দাঁড়িয়ে নেই দলটি। আজ শনিবার তাদের প্রতিপক্ষ সুইডেন। তাদের হারাতে পারলেই দল পেয়ে যাবে স্বপ্নের সেমিফাইনালের টিকিট!

যদিও সুইডেনও খুব একটা পিছিয়ে নেই! শিরোপা জিততে না পারলেও ১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে এসেছিল ইউরোপের এই দেশটি। সর্বশেষ সেমিফাইনালে খেলেছে ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে! আর এবার রয়েছে দুর্দান্ত ছন্দে। সত্যিকার অর্থেই ইংল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে তারা।

রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড-সুইডেন ম্যাচটি আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত আটটায় শুরু হবে। সামরার কসমস এরিনায় অনুষ্ঠিত খেলাটি সরাসরি দেখাবে বিটিভি, মাছরাঙা, নাগরিক টিভি, সনি ইএসপিএন, সনি টেন টু ও সনি টেন থ্রি চ্যানেল।

তারকা খ্যাতিতে অবশ্য ম্যাচটিতে এগিয়ে রাখতেই হবে ইংল্যান্ডকে। ৬ গোল করে এরইমধ্যে দলটির অধিনায়ক হ্যারি কেইন গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। আজও মূল ভরসা তিনিই। গ্যারি লিনেকারের (১৯৮৬) পর আবারো কোন ইংলিশ ফুটবলার গোল্ডেন বুট জয়ের পথে এগিয়ে গেলেন।

অনেকেই বলছেন অনেকটা সহজ প্রতিপক্ষই পেল ইংল্যান্ড। যদিও দলটির কোচ গ্যারেথ সাউথগেট জানিয়ে রাখলেন, ‘দেখুন, এখানে আলাদা করে কাউকে ফেভারিট বলা সুযোগ নেই। সুইডেন এমন একটি দল যাদের আমি সব সময় সমীহ করি। তাদের বিপক্ষে আমাদের রেকর্ডটাও তেমন মনে রাখার মতো নয়। দুর্দান্তসব পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে নামে তারা। সন্দেহ নেই কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।’

১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপের পর আবার সেমিফাইনালে খেলার দ্বারপ্রান্তে থ্রি লায়ন্সরা। তার আগে
দলের ডিফেন্ডার জন স্টোনস জানাচ্ছিলেন তাদের লক্ষ্যের কথা, ‘আগেই বলেছি বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ই আমাদের স্বপ্ন। এজন্য সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছি। অনেক অনেকদিন আমরা বিশ্বকাপে কোনো সাফল্য পাইনি। এবার হাসিমুখে দেশে ফিরতে চাই। তার আগে এখন আমাদের শুধু সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচটিতে নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়তে হবে।’

অবশ্য কথার এমন যুদ্ধে কম যাচ্ছে না সুইডেনও। এমিল ফোসবার্গ আর রবিন ওলসেনরা লড়তে প্রস্তুত। কোচ জেন অ্যান্ডারসন জানিয়ে রাখলেন, ‘সত্যি বলতে কী আমরা আরেকটা জয়ের জন্য মুখিয়ে আছি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে একে-অপরের জন্য কাজ করি আমরা। ভাল করেই জানি ফুটবল একার খেলা নয়, এটি একটি টিম গেম। আমরা সবাই মিলে ওদের বিপক্ষে জয় তুলে নেবো। বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করে রাখতে চেস্টার কোন ভ্রুটি থাকবে না!’

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে এর আগে ২৪ বার দেখা হয়েছে ইংল্যান্ড আর সুইডেনের। যেখানে আটবার জিতেছে ইংলিশরা। সাতবার সুইডেন। আর বিশ্বকাপে ২০০২ ও ২০০৬ সালে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। প্রতিবারই ড্র হয়েছে। সব মিলিয়ে অতীত দিয়ে তাদের কোন এক দলকে এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে রাখার সুযোগ নেই! লড়াইটা হবে সমানে সমানে! উত্তাপ ছড়ানো এই ম্যাচে আসলে কেউই ফেভারিট নয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর