৬ ম্যাচ খেলে জয় পাঁচটিতে। রীতিমতো রান বন্যায় উড়ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ষষ্ঠ জয়ের মিশনে থাকা দলটির সঙ্গে লড়াই ছিল হারের বৃত্তে থাকা রংপুর রেঞ্জার্সের। এমন লড়াইয়ে বাজিমাত উত্তর বঙ্গের দলটির। সাফল্যের তুঙ্গে থাকা দলটিকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে রংপুর।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ম্যাচে শনিবার চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারাল রংপুর রেঞ্জার্স। ৮ বল হাতে রেখেই জয়!
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকরা ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করে ১৬৩ রান। জবাবে নেমে ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর। তুলে নেয় প্রথম জয়।
ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা রংপুরের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। জবাব দিতে নেমে দলের ৪ রানেই বিদায় নেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। রুবেল হোসেনের শিকার তিনি। এরপর ক্যামরুন ডেলপোর্টও (৪) ফ্লপ। ১৯ রানে শেষ ২ উইকেট।
তারপর অধিনায়ক টম অ্যাবেল ২৪ বলে ২৪ করে ফিরে গেলে মনে হচ্ছিল আরেকটি হার দেখতে যাচ্ছে রংপুর। কিন্তু তখনই দৃশ্যপট পাল্টে দেন লুইস গ্রেগরি। ইংলিশ এই ব্যাটসম্যান ঝড় তুলে কোণঠাসা করে ফেলেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা চট্টগ্রামকে। ফজলে মাহমুদও দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাকে। তাদের ব্যাটেই রাতের এই ম্যাচটা এসে যায় হাতের মুঠোয়।
জয়ের নায়ক গ্রেগরি ২৫ বলে করেন ফিফটি। শেষ অব্দি ৩৭ বলে করেন ৭৬ রান। ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছক্কা ও ছয়টি চার। ফজলে মাহমুদের ব্যাটে ২১ বলে ৩৮ রান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। লেন্ডল সিমন্সকে ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতটা শুরুতেই দিলেন কাটার মাস্টার। শততম টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য মিলে শুরুতেই।
এরপর যা একটু লড়াই করলেন আভিস্কা ফার্নান্ডো। অন্যদের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেননি রংপুরের বোলাররা। আভিস্কার ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৭২ রান।
আভিস্কা ৩৩ বলে করেন হাফ-সেঞ্চুরি। ৭২ রানে আটকে যান তিনি। ইনিংসে ছিল আটটি চার ও চারটি ছক্কা। আগের ম্যাচগুলোতে ঝড় তুললেও ১৪ বলে ১৬ রানে ফেরেন চাডউইক ওয়ালটন। মুক্তার আলি ৯ বলে ১২ রান।
শেষদিকে ১৮ বলে ২০ রান করেন নুরুল হাসান সোহান। লিয়াম প্লাঙ্কেটের ব্যাটে ১২ বলে ১৭।
রংপুরের হয়ে বল হাতে সফল মুস্তাফিজুর রহমান ও লুইস গ্রেগরি। দু'জনই নেন দুটি করে উইকেট। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রথম জয়ের পথটাও করে দেন তারা। পঞ্চম ম্যাচে এসে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ল রংপুর রেঞ্জার্স!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৩/৭ (সিমন্স ০, ফার্নান্দো ৭২, ইমরুল ১০, ওয়ালটন ১৬, নাসির ৯, সোহান ২০, মুক্তার ১২, প্লাঙ্কেট ১৭*, রুবেল ২*; মুস্তাফিজ ২/২৩, মুকিদুল ১/৪২, গ্রেগরি ২/২৭, নবি ১/৩৩, সঞ্জিত ১/২৫)।
রংপুর রেঞ্জার্স : ১৮.৪ ওভারে ১৬৭/৪ (অ্যাবেল ২৪, সাদমান ১৬, গ্রেগরি ৭৬*, ফজলে ৩৮*; রুবেল ২/৩৭, রানা ১/১৬, প্লাঙ্কেট ১/৪৬)
ফল: রংপুর রেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: লুইস গ্রেগরি