জাতীয় দলের জার্সিতে মাশরাফি বিন মর্তুজা এখন শুধুমাত্র ওয়ানডে ক্রিকেট খেলেন। টি-টোয়েন্টি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন বছর দুয়েক আগে। টেস্ট খেলছেন না, সার্বিক ফিটনেসের কারণে। শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন ৫ জুলাই। তারপর বাংলাদেশ আরো তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে, শ্রীলঙ্কা সফরে। ইনজুরির কারণে সেই সফরে ছিলেন না মাশরাফি। বাস্তবতা হলো মাশরাফিকে ছাড়াই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সামনের সময়ের ওয়ানডে দল গড়ার পরিকল্পনার পথে হাঁটছে। বিশ্বকাপে তার ব্যক্তিগত পারফরমেন্স হয়েছে ভঙ্গুর। ৮ ম্যাচে মাত্র ১ উইকেট! ফিটনেসও প্রশ্নবোধক। এমন পরিস্থিতিতে মাশরাফি এখন ওয়ানডে দলেও অটোমেটিক চয়েজ নন।
সেই বাস্তবতাও মানেন মাশরাফি। তাই সরল স্বীকারোক্তি তার- 'এখন সিলেকশনের তো একটা ব্যাপার আছে। টু বি অনেস্ট বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ১ উইকেট পাবার পর আমার মতে আমি দলে সুযোগ পাবো না। এটা তো আসলে সিলেকশনের ব্যাপার। নির্বাচকরা যদি মনে করে আমাকে সুযোগ দিবে তাহলে আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো। কিন্তু ৮ ম্যাচে ১ উইকেট পেয়ে আমি কিভাবে আপনাদের সামনে বলি যে আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাবো? আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে তো আরো আগে বাদ পড়তো।'
তাকে নিয়ে নির্বাচকদের চিন্তা-ভাবনা কি, সেটাও একটা প্রশ্ন। ক্রিকেট বোর্ড তো গেলবছর একবার তার অবসরের দিনক্ষণ ঠিক করেও ফেলেছিল। জিম্বাবুয়েকে ডেকে ওয়ানডে সিরিজ করে মাশরাফিকে বিদায় জানানো হবে-এমন পরিকল্পনার কথাও তারা জানিয়েছিল তাকে। পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে বিসিবি। বিসিবি তখন জানিয়েছিল-মাশরাফি তার অবসরের সময় জানাতে সময় চেয়েছেন।
সেই সময়ও অনেকদিন পেরিয়ে গেছে। এখন মাশরাফি বলছেন- ‘জানি না আমাকে নিয়ে নির্বাচকদের কি চিন্তা ভাবনা আছে, আমার সাথে কোন আলোচনা হয়নি। তাদের সঙ্গে আরো খেলোয়াড়দের কথা হয়েছে, আমার সাথে কোন কথা হয়নি। তো এক পক্ষ থেকে আমি কিভাবে বলবো? খেলোয়াড় হিসাবে যতটুকু চিন্তা করার কথা আমি অতটুকুই করছি। খেলছি, এনজয় করছি। যদি ওয়ানডে আসে, নির্বাচকরা যদি মনে করে আমাকে সুযোগ দেবে তাহলে খেলবো। কারণ দিন শেষে ক্রিকেটটাই আমার কাছে সব। আমি সব সময় বলে এসেছি যেখানে যাই, যাই করি; ক্রিকেটটাই আমার কাছে সব। তো ক্রিকেটটা আমি মন দিয়ে খেলি। আর যতদিন খেলবো, সেটা জাতীয় দল হোক বা অন্য কোথাও হোক- মন দিয়েই খেলবো। আর ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে কি হবে সেটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমাকে যদি বলে তখন আমি বলবো। আমার সাইড থেকে আমি বলতে পারি আমি খেলতে চাই। সেটা জাতীয় দল হতে হবে এমন কিছু নয়, আমার জায়গায় যারা খেলছে তারাও ভালো করছে। এটা জরুরি না যে, জাতীয় দলে খেলতেই হবে। এখন বোর্ড যদি মনে করে আমাকে খেলাতে চায় আমি বলবো অবশ্যই খেলবো, অবশ্যই। আমি খেলছিতো খেলার জন্যই, এমনতো না যে আমি ফাজলামো করছি। খেলার জন্যই খেলছি।’