ফাইনালের পেনাল্টি বিতর্ক চলছেই!

, খেলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম  | 2023-08-22 14:17:14

বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষ হয়ে গেলেও তার রেশ ঠিকই থেকে গেছে! ফাইনাল শুরুর পর থেকেই প্যারিসে উৎসব শুরু! এরপর রাতভর চলেছে তাদের আনন্দ আয়োজন। আর ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবে ফুটবলপ্রেমীরা ফেলেছেন চোখের জল। ৯০ মিনিটের সেই ম্যাচটা নিয়ে গোটা বিশ্বেই চলছে আলোচনা। যেখানে ৪-২ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ফরাসিরা। কিন্তু তাদের জয়টাতেও লেগে আছে কলঙ্কের কালি!

বির্তকের তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন ফাইনালের রেফারি আর্জেন্টিনার নেস্টর পিতানা। ফুটবল পন্ডিতরা বলছেন, ম্যাচের ৩৭ মিনিটে পেনাল্টি দিয়ে সম্পূর্ন ভুল করেছেন রেফারি। লুঝনিকি স্টেডিয়ামে রোববার কর্নার থেকে ভেসে আসা বল

ডিবক্সে বল লাগে ইভান পেরিসিচের হাতে। ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।

শুরুতে রেফারি পিতানা ব্যাক কিকের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ফরাসি ফুটবলাররা হ্যান্ডবলের দাবি তুলেন। হাতে বল লেগেছে! এরপরই পিতানা ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নেন। মাঠের বাইরে গিয়ে টিভিতে রিপ্লে দেখে ফিরে এসে পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। সেই সিদ্ধান্তটা ঠিক মতো মেনে নিতে পারেন নি লুকা মডরিচরা। কিন্তু অনড় রেফারি। শেষ পর্যন্ত আন্তোঁয়ান গ্রিজমানের পেনাল্টি গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ফরাসিরা।

রেফারির এই সিদ্ধান্ত এখন সোচ্চার গোটা ফুটবল বিশ্ব। ইর্য়ুগেন ক্লিন্সম্যান, অ্যালেন শিয়েরার, জার্মেইন জিনাস, রিও ফার্দিনান্দ-সবাি্ বলছেন এটা পেনাল্টি ছিল না। ভুল রায় দিয়েছেন পিতানা। জার্মানির বিংবদন্তি ফুটবলার ক্লিন্সম্যান বলছিলেন, 'দেখুন যখন রেফারি নিশ্চিত নন, তখন কেন তিনি পেনাল্টি দিলেন? তিনি ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন। এটা করাই ভুল ছিল তার। দেখুন বুঝতে হবে একজন ডিফেন্ডার ইচ্ছাকৃত ভাবে বক্সের ভিতরে বল হাতে লাগাল কীনা। আমার তো মনে হয় সেটা ইচ্ছেকৃত ছিল না।’

ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার অ্যালেন শিয়েয়রার আরো সোচ্চার। জানাচ্ছিলেন, 'আমি এমন পেনাল্টির ব্যাপারটা মানতেই পারছি না। কোন যুক্তিতেই এটা পেনাল্টি হয়নি। আসলে এই গোলের পরই খেই হারিয়ে ফেলে ক্রোয়াটরা। ম্যাচটাও হেরে যায়।’

১৯৭৪ সালের পর এবারই বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমার্ধে তিন গোল হল। সেই রেকর্ডটা ম্লানব করে দিল এই পেনাল্টি বিতর্ক! বিশ্লেষকদের মতো ক্রোয়েশিয়ার কোচও যোগ দিলেন এই বিতর্কে। তিনিও মনে করেন এটা পেনাল্টি ছিল না। জ্বলাতকো দালিচ বলছিলেন, ‘দেখুন রেফারিং নিয়ে কিছু বলতে ভাল লাগে না আমার। তবে এখানে চুপ থাকতে পারছি না। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচে আপনি এমন কোন পেনাল্টি দিতে পারেন না! এটা খুবই দৃষ্টিকটু ছিল এটি। এখানেই আমরা পিছিয়ে পড়লাম।’

এর আগে মারিও মানজুকিচের আত্মঘাতি গোলে প্রথমে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলতে গিয়ে ভাগ্যটাও সাহায্য করেনি তাদের। দালিচ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে অভিনন্দন জানিয়ে আরো বলেন 'দেখুন, সত্যিকার অর্থেই আমরা ভালো খেলেছি। প্রথম ২০ মিনিটে আমরাই মাঠে ছিলাম। এরপর প্রথমে আত্মঘাতী গোল খেয়েও ম্যাচে ফিরলাম। তখনই এমন একটা পেনাল্টি দিয়ে দিলেন রেফারি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর