দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) সঙ্গে সম্পর্কটা তিক্ত হয়ে গেছে অনেক আগেই। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরে দলের বাইরেই রয়ে যান চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু কাগজে-কলমের সম্পর্কটা রয়ে যায় আগের মতো।
কিন্তু হাথুরুকে কোনো দায়িত্ব না দিয়ে আপদকালীন কোচও নিয়োগ দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই পর্ব চুকিয়ে ইতোমধ্যে তারা নতুন প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে মিকি আর্থারকে। তবে হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি বহাল থাকায় পাকিস্তানের সাবেক এ কোচকে করা হয় দলের ‘পরামর্শক প্রধান কোচ’।
কোনো কাজ ছিল না হাথুরুর। তবে চুক্তি কার্যকর থাকায় বেতন-ভাতা পেতেন নিয়মিত। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে এসে সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তাই ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের (দ্য কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্ট-সিএএস) দ্বারস্থ হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এ কোচ।
এনিয়ে দুপক্ষের মাঝে অনেক ঝামেলার পর অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে কাগজে-কলমের সম্পর্কটুকুও চুকিয়ে ফেলতে যাচ্ছে এসএলসি।
সিএএস থেকে ইতোমধ্যে হাথুরুর দাবি-দাওয়া পৌঁছে গেছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডে। চুক্তির শর্ত ভঙ্গের সঙ্গে ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন তিনি। শুক্রবার বোর্ডের কার্যনিবাহী কমিটির বৈঠক শেষে হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএলসি।
শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব নিয়ে সাফল্য পাননি হাথুরুসিংহে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে নিয়োগ পেয়ে ২০১৯ সালের আগস্টেই মূলত চাকরি হারিয়ে ফেলেন তিনি। হাথুরু চুক্তিবদ্ধ থাকলেও দলের আপদকালীন কোচ হন রুমেশ রত্নায়েকেকে। এর পরই আসেন মিকি আর্থার।