গ্ল্যামারার্স প্রেসিডেন্ট হিসেবে একটা পরিচিতি আগেই ছিল। রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজের সেই পরিচয়ের ব্যাপ্তিটা সত্যিকার অর্থেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। লুকা মডরিচ আর কিলিয়ান এমবাপোর মতোই তিনিও যেন এখন ক্রীড়াঙ্গনের চেনা এক নাম! কোলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচ, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট! অনেক স্বপ্ন নিয়ে রোববার হাজির ছিলেন গ্যালারিতে। প্রথমবারের মতো তার দল জিতবে বিশ্বকাপ শিরোপা, সেই স্বপ্নে বুঁদ হয়ে ছিলেন তিনি!
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে হাজির হয়েছিলেন লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। কিন্তু মস্কোর রাত হতাশ করেছে তাকে। ভাল খেলেও তার দল ক্রেয়োশিয়া ২-৪ গোলে হেরেছে ফ্রান্সের কাছে। ফাইনালে এসে সেই উচ্ছ্বাসটা মিলিয়ে গেল কিতারোভিচের। রানার্স আপ হল তার দল। তাতে অবশ্য কোন দুঃখ নেই তার।
বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে ক্রোয়াট প্রেসিডেন্ট জানালেন, 'দল ফাইনালে খেলেছে এটাতেই আমি খুশি। এবার হয়নি। আমি নিশ্চিত ভবিষ্যতে আমরার ঠিকই পারবো।' প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠা দলটাকে নিয়ে এমন উচ্ছ্বসিত হতেই পারেন তিনি। কারণ দুর্দান্ত খেলে এবার সবার মন জয় করেছে ক্রোয়েশিয়া!
রোববার ক্রোয়াট প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী জ্যাকব কিতারোবিচ। তাদের স্বপ্ন ভাঙ্গলেও মন ভাঙেনি। পুরস্কার প্রদান মঞ্চে থাকা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কিতারোভিচের রসায়নটাও তখন চোখে পড়েছে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরার দৃশ্যও দেখা দেখা গেল টিভি পর্দায়। বৃষ্টিতে ভিজেছে খুনসুটি করেছেন দু'জন!
পুরস্কার নিতে মঞ্চে আসা ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারদের জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানান কিতারোভিচ। টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার গোল্ডেন বল জেতা ক্রোয়েশিয়ার লুকা মডরিচকে অনেক্ষণ জড়িয়ে ধরেন কিতারোবিচ! যেন দুঃখটা ভাগাভাগি করে নিলেন দু'জন! বৃষ্টির জলে ভিজতে ভিজতে অন্য ফুটবলারদের বুকে টেনে নিয়ে তিনি সান্ত্বনা দেন। বলতে থাকেন, 'হতাশ হবে না। সামনে নিশ্চয়ই তোমরা পারবে।'