সুপার ওভার যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ডের জন্য। কিউই ক্রিকেটের জন্য ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী এ আইন যেন জন্য বড়ই অপয়া। দুর্ভাগ্যটা কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছে না তাদের। হ্যামিল্টনের পর এবার ওয়েলিংটনেও সেই সুপার ওভারেই ভারতের কাছে হার মানল ব্ল্যাক ক্যাপস শিবির।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে লর্ডসের ফাইনালে সুপার ওভারেই ইংল্যান্ডের শিরোপা হাত ছাড়া করে কিউইরা। এর পর ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বিরাট কোহলিদের কাছে ধরাশায়ী হয় স্বাগতিকরা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সেই অবিশ্বাস্য নাটকীয়তাই ফের মঞ্চস্থ হলো।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৭ রান। কিন্তু ছয় রান তুলে হারায় তারা ৪ উইকেট। বল হাতে আক্রমণে যান ম্যাচ সেরা শার্দুল ঠাকুর। প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন রস টেলরকে। পরের বলেই দেন বাউন্ডারি। তৃতীয় বলে রান আউট হন টিম সেইফার্ট। চতুর্থ বলে আসে এক রান। পরের দুই বলে আউট হন ড্যারিল মিচেল ও মিচেল স্যান্টনার। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় শেষ বলে রানআউট হন স্যান্টনার।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি ভারতীয়দের। ৮৮ রানেই হারিয়ে ফেলে তারা ৬ উইকেট। মনিশ পান্ডের অপরাজিত হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের পুঁজি গড়ে ভারত। ওপেনার লোকেশ রাহুল করেন ৩৯ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ইশ সোধি তিনটি ও হামিশ বেনেট শিকার করেন দুই উইকেট।
তৃতীয় ম্যাচের মতো এ ম্যাচের কাছাকাছি পৌঁছেও জয় নামক সোনার হরিণের দেখা পায়নি নিউজিল্যান্ড। কলিন মুনরো (৬৪) ও টিম সেইফার্টের (৫৭) জোড়া অর্ধশতকের পরও তীরে এসে তরী ডুবে যায়। ৭ উইকেটে ১৬৫ রান তুলে ম্যাচ ফের টাই করে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
কাঁধের চোটের জন্য ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ায় নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেন টিম সাউদি।
নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাঠে এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।