শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাটাই সত্য হল। এ বছর আর বসছে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসর। ২০১৯ সালের শুরুতেই ২০ ওভারের এই উন্মাদনায় মাতবে বাংলাদেশ। জানা গেল, ৫ জানুয়ারি শুরু হবে এই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসর। আর ফাইনাল দিয়ে টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ৮ ফেব্রুয়ারি।
তবে নভেম্বরের বিপিএল যে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে যাবে সেটা অনুমিতই ছিল। কারণ এ বছরের শেষ দিকে গোটা দেশ মেতে থাকবে জাতীয় নির্বাচনে। এমন কী আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও ব্যস্ত থাকবেন নির্বাচন কেন্দ্রিক তৎপরতা নিয়ে।
এমনিতে বিপিএল হওয়ার কথা ছিল এ বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে দলগুলোর ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে এ বছর আর বিপিএল হচ্ছেই না। গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুস জানান, ‘জাতীয় নির্বাচনের কারণে আমরা আগের নির্ধারিত সময়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারছি না।’
নির্বাচন শেষ করেই বিপিএল আয়োজন করতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ যদি পিছিয়ে যায় তখন কি বিপিএল আবার পেছাবে? এই প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে কৌশলে ব্যাট করলেন জালাল, ‘ডিসেম্বরের শেষ দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা। যদি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় তাহলে আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে বসে বিপিএল শুরুর তারিখ আবারো ঠিক করে নেবো।’
এর মানে ফের বিপিএলের তারিখ বদলের একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
রোববার রাতে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভা শেষে জালাল ইউনুস জানিয়ে রাখলেন, ‘বিপিএলের ষষ্ঠ আসর ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। অক্টোবরে প্লেয়ার্স ড্রাফট হবে।’
গতবার খেলা চারজন করে ক্রিকেটার এবার ধরে রাখতে পারবে প্রতিটি দল। এনিয়ে জালাল ইউনুস জানাচ্ছিলেন, ‘স্থানীয় আর বিদেশি মিলিয়ে চারজন ধরে রাখতে পারবে। চাইলে কোনো দল চারজনই স্থানীয় বা চারজনই বিদেশি বেছে নিতে পারে। যদিও সবকিছু এখনও সুপারিশের পর্যায়ে আছে।’
এবার ভেন্যুর সংখ্যা বাড়ছে না। গতবারের মতো তিন ভেন্যু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটেই অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের ম্যাচগুলো।