করোনা শঙ্কা শেষে দ্রুত মাঠে ফিরতে চান সৌম্য

ক্রিকেট, খেলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-19 18:48:00

দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। করোনাভাইরাস আতঙ্কে থমকে আছে সবকিছু। স্বাভাবিক জীবন যাত্রাই যেখানে বিঘ্নিত সেখানে খেলার দুনিয়া সচল থাকে কী করে। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের প্রভাবে স্থগিত হয়ে গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তারপরও ব্যক্তিগত উদ্যােগে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তাদেরই একজন সৌম্য সরকার।

চালিয়ে যাচ্ছেন অনুশীলন। সৌম্যর বিশ্বাস দ্রুতই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। মাঠে গড়াবে বল।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে মঙ্গলবার অনুশীলন করলেন সৌম্য সরকার। নেটে অনেকটা সময় একান্তে ব্যাট করলেন। এরপরই মুখোমুখি হলেন সংবাদ মাধ্যমের। সৌম্য বলছিলেন, ‘মাঠে ছিলাম মাত্র একদিন গেল। কালকেই তো খেললাম। যে একটা রাউন্ড খেলা স্থগিত করা হয়েছে, এটা অবশ্য সবার ভালোর জন্য। আশা করি দেশের মানুষ সুস্থ থাকবে। আমরাও সুস্থ থাকি। সুস্থ থাকাটাই শেষ কথা। সুস্থ থাকলে সামনে অনেক খেলা পাব। আপাতত ফিটনেসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকব আমি।’

সময়টা ভালো যাচ্ছে সৌম্যর। বিয়ের পর মাঠে ফিরেই রান পাচ্ছেন এই ব্যাটসম্যান। এরপর বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৯ রান। এই ইনিংস খেলে জেতাতে পারেননি নিজ দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে।

এ অবস্থায় করোনাভাইরাসের কারণে এক রাউন্ড বন্ধ প্রিমিয়ার লিগ। এ অবস্থায় নিজের ফিটনেস নিয়ে কাজ করবেন তিনি। মাঠে ফিরতে প্রস্তুত থাকবেন। বলেন ‘আমাদের দল থেকে বলা হয়েছে একটা খেলা পেছানো হয়েছে। সবাই ফিটনেস নিয়ে কাজ করব আর ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করব। যখনই খেলা শুরুর কথা বলবে তখনই নিজেদের খেলার মধ্যে নিয়ে যাব। বিশ্রামে চলে যেতে চাচ্ছি না।’

মাঠের বাইরে থাকতে ভালো লাগে না সৌম্যর। এই বাঁহাতি বলছিলেন, ‘সব সময় মাঠে থাকতে চাই, খেলতে চাই আমি। যত দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি ভালো হলে আমাদের জন্যই ভালো। আমরা সব সময় মাঠে থাকতে চাই। ভাইরাসের জন্যই ডিপিএলের এক রাউন্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত এটা কেটে যাবে তত দ্রুতই মাঠে নামতে পারব আমরা।’

শুধু লিগ নয়, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের আসন্ন পাকিস্তান সফরও স্থগিত হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হবে টাইগারদের। কবে পরিস্থিতি শান্ত হবে আঁচ করা যাচ্ছে না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী ৭ হাজার ১৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪৪২ জন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর