এ বছরের জানুয়ারি থেকেই চোটের সঙ্গে বসবাস তার। বাঁ হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের ইনজুরিতে কাবু হলেও দমে যাননি। শুরুতে কিছুদিন বিরতি দিয়ে নেমে পড়েন মাঠে। ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে খেলে গেছেন সাকিব আল হাসান। এ কারণে এখন অস্ত্রোপচার ছাড়া এই চোট থেকে মুক্তি মিলবে না।
সাকিব নিজেও যতোটা সম্ভব দ্রুত অস্ত্রোপচার করাতে চাইছেন। বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাস্ট্র সফর শেষে দেশে ঢাকায় ফিরে এমনটাই জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সাকিব জানালেন, ‘আঙুলের অবস্থা কেমন সেটা ফিজিও ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি যতোদুর বুঝতে পারছি সার্জারি করতে হবে। কোথায় করলে ভাল হয়, কবে করলে ভাল হয় এটা নিয়েই কথা হচ্ছে। আমি মনে করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করে ফেলা ভালো।’ লম্বা সিরিজ শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রায় সবাই এখন আছেন ছুটির আমেজে। সাকিবও কিছুদিন যুক্তরাস্ট্রে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইনজুরি সেটা হতে দিল না। অস্ত্রোপচার নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতেই বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন তিনি।
চটজলদি অস্ত্রোপচার হয়ে গেলে এশিয়া কাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে যাবে সাকিবের। কারণ আগামী মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবে এই টুর্নামেন্ট। এর আগে অপারেশন টেবিলে গেলে তাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে মাশরাফি বিন মর্তুজাদের। সাকিব জানাচ্ছিলেন, ‘সম্ভবত এশিয়া কাপের আগেই অস্ত্রোপচার হবে। ফুল ফিট না থেকে মাঠে নামতে চাইনা আমি।’
নিজের খেলা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এশিয়া কাপে তার বিশ্বাস ভাল করবে বাংলাদেশ। ঢাকায় নেমেই টি-টুয়েন্টি ও টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই। ভালো একটা ভালো সিরিজের পর নুতন কিছু করার কথা ভাবা যেতেই পারে।’ শুধু এশিয়া কাপ নয়, এমন কী এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশের মাঠে সিরিজেও নাও দেখা যেতে পারে এই অলরাউন্ডারকে। কারণ অস্ত্রোপচারের পর বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে টাইগারদের এশিয়া কাপ মিশন শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার। ২০ সেপ্টেম্বর পরের ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে মাশরাফির দল। দুই বছর আগে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে রানার্স অপ হয়েছিল বাংলাদেশ।