সাকিবের ফার্মে বেতন নেই ৪ মাস, শ্রমিকরা বিক্ষোভে রাস্তায়

বিবিধ, খেলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 14:07:07

স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। সেখান থেকেই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গড়ছেন তহবিল। আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। কিন্তু এরইমধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে তারই মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী এলাকায় এই তারকা ক্রিকেটার গড়েছেন ‘সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’। সেখানকার শ্রমিকরা সোমবার বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।

জানা গেছে, চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না সাকিবের সেই অ্যাগ্রোর কর্মচারীরা। এ জন্য কাঁকড়া চাষে জড়িত থাকা শ্রমিকরা বিক্ষোভে নেমেছেন।

সোমবার আন্দোলন শুরু করেন ফার্মটির বেশ কিছু শ্রমিক। যদিও করোনার এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আন্দোলনরত শ্রমিকদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। শ্রমিকরা জানিয়েছেন চার মাস যাবত বেতন পাচ্ছেন না তারা। প্রাণঘাতি ভাইরাসের সংক্রমণের এই সময়ে তারা আরও বিপাকে রয়েছেন। অনেকের বাড়িতে খাবারও নেই।

যদিও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কাঁকড়ার চাহিদাও কম। সবচেয়ে বড় বাজার চীনে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ। ৩৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা সাকিবের এই খামারে উৎপাদিত কাঁকড়া বিদেশে রফতানিও থেমে গেছে। বছর পাঁচেক আগে গড়ে উঠে এই খামারটি।

পুরো ঘটনাটি নিয়ে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল সোমবার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'সকাল দশটার দিকে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পারি। এরপরই আমি সেখানে ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্যকে পাঠাই। খামারের ম্যানেজারেরও সঙ্গে ফোনে কথা বলি। জানতে পারি সেখানে ৩০ থেকে ৪০ জন শ্রমিক রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করছেন।'

সেই শ্রমিকরা করোনার সংক্রমণের এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব না মানায় তাদের সঙ্গে কথা বলেন আইন শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, 'দ্রুত তাদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করি আমরা। ওই অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার জানিয়েছেন, তাদের স্বল্প সময়ের মধ্যেই বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) এনিয়ে খামারের ম্যানেজারের সঙ্গে আমার মিটিং রয়েছে।'

জানা গেছে, সাকিবের সেই খামারে ১০০ থেকে ১৫০ শ্রমিক কাজ করেন। তবে শ্রমিকদের এই বেতন না পাওয়ার বিষয়টি খোদ সাকিব জানেন কীনা সেটি নিশ্চিত করতে পারেন নি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি জানান এই খামারের পুরোটা দেখেন ম্যানেজার সগীর হোসেন পাভেল। যিনি সাকিবের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত। তাকে ফোনে অবশ্য পাওয়া যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর