আকমলের হুমকি পেয়েই দুবাই থেকে পালিয়ে ছিলেন জুলকারনাইন

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 13:29:39

উমর আকমলের মতো যেসব খেলোয়াড়রা ক্রিকেটকে কলঙ্কিত করেছেন। ক্রিকেটারদের ফেলেছেন লজ্জায়। তাদের আজীবন নিষেধাজ্ঞা দাবী করেছেন জুলকারনাইন হায়দার। কারণ এই উমর আকমলই তাকে ম্যাচ হারতে হুমকি দিয়েছিলেন। সেটা না মানায় আকমল ও অন্য কয়েকজনের কাছ থেকে ফের হুমকি পেয়েই ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালে দুবাই থেকে লন্ডনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

স্পট-ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও জানাননি উমর আকমল। সে অপরাধে ২৯ বছরের আকমলকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

কিন্তু উমর আকমলের ঘটনায় পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান জুলকারনাইন মোটেই বিস্মিত নন। উল্টো আকমলের আজীবন নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন, ‘এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আমি মোটেই অবাক হইনি। আসলে এমন খেলোয়াড়কে আজীবন নিষিদ্ধই করা উচিত। এটা আমি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকেই বলছি।’

আকমল সম্পর্কে বলতে গিয়ে জুলকারনাইন ফিরে যান প্রায় এক দশক আগের স্মৃতিতে। ২০১০ সালের ২ নভেম্বর দুবাইতে হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে। ম্যাচটি মাত্র দুই রানে জিতে ছিল প্রোটিয়ারা। জুলকারনাইন বলেন, সেই ম্যাচে মাঠে ড্রিকস দিতে গিয়ে তাকে ব্যাট হাতে ইচ্ছাকৃতভাবে বাজে খেলতে বলেছিলেন আকমল।

জুলকারনাইন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ ছিল এটি। আমি যখন ব্যাট করছিলাম, তখন উমর আকমল আমাদের জন্য ড্রিকস নিয়ে যায়। এবং আমাকে বাজে পারফরম্যান্স করতে বলে। তার পরিষ্কার কথা ছিল দক্ষতার সাথে ব্যাটিং করো না। আমি তখন পরিষ্কারভাবে তাকে শুধু ড্রিকস ম্যানের দায়িত্ব পালন করার কথা বলেছিলাম। ম্যাচ শেষে ব্যাপারটা টিম ম্যানেজমেন্টের কানেও পৌঁছে গিয়েছিল।’

সেই ম্যাচে দুই বাউন্ডারিসহ সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন মাত্র ১১ রান। কারণ অত্যধিক মানসিক চাপটা কিছুতেই নিতে পারেননি জুলকারনাইন। ২০১০ সালে ৪ নভেম্বর চতুর্থ ম্যাচেও হারতে বলেছিল বাজিকররা। কিন্তু ম্যাচ জেতানো রান নেওয়ায় ম্যাচ-ফিক্সারদের কাছ থেকে তিনি ও তার পরিবার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। 

মানসিক চাপটা নিতে পারেননি। ৮ নভেম্বর টিম ম্যানেজমেন্টকে না জানিয়ে ইংল্যান্ডে পালিয়ে যান। লন্ডনে যাওয়ার পর ২০১০ সালের ১০ নভেম্বর তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন। এতোটাই ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলেন যে সেখানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেন।

পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ২০১১ সালে লাহোরে ফিরেন জুলকারনাইন। ইংল্যান্ড থেকে ফিরে পিসিবি ও আইসিসি’র দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারদের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর