করোনাভাইরাস সংক্রমণ না কমলেও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। ভারতে শিথিল হয়েছে লকডাউন। তবে ক্রিকেট কবে মাঠে ফিরবে নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। যদিও বসে নেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। বিরাট কোহলিদের মাঠে ফেরাতে বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা।
দুই মাসেরও বেশি হলো। এবার ক্রিকেটারদের অনুশীলনে নামাতে চাইছে বোর্ড। এজন্য টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর চার দফায় প্রশিক্ষণের একটি পরিকল্পনা করেছেন।
সবার আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের কথা ভাবতে হচ্ছে বিসিসিআই'কে। ঘরবন্দী জীবনে অনেকেই হয়তো ফিটনেসে মন দেননি। এ অবস্থায় শ্রীধর মনে করেন, সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিটনেস পেতে ক্রিকেটারদের লাগবে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ। শ্রীধর বলেন, ‘দেখুন, চার থেকে ছয় সপ্তাহের ক্যাম্প দরকার। ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে সময় চাই। পেসারদের লাগবে ৬ সপ্তাহ।’
তবে করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটারদের বাড়তি চাপ দেওয়ার পক্ষপাতী নন শ্রীধর। জানাচ্ছিলেন, ‘চূড়ান্ত ফিটনেসের জন্য ক্রিকেটারদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেব না। দেখে-শুনে ওয়ার্কলোড বাড়ানো হবে। প্রথম দফায় কম ভলিউম, কম তীব্রতা। দ্বিতীয় দফায়- কম তীব্রতা। তৃতীয় দফায়-মাঝারি তীব্রতা। শেষে চতুর্থ দফায় তীব্রতায় অনুশীলন হবে।’
সময় পেলে ক্রিকেটাররা ফিট হয়ে যাবেন বলে মনে করেন টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিং কোচ। তিনি আরও জানালেন, ‘সব ক্রিকেটার একই সময়ে ম্যাচ ফিট হয়ে যাবেন না। কারও দু’দিন বেশি লাগবে পারে। কারও তিন দিন কমও লাগতে পারে। আমাদের সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।’
তবে এই পরিকল্পনা কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে, কবে মাঠে নামবেন কোহলিরা নিশ্চিত নয়!