গত কয়েক মাস ধরেই অপেক্ষায় ছিলেন ক্রিকেটাররা। এবার তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। রোজার ঈদের আগেই পাওয়ার কথা ছিল, অথচ কোরবানির ঈদ এসে গেছে, মিলছে না অর্থ। তাইতো পাওনা টাকা চাইতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দ্বারস্থ হয়েছেন ভুক্তভোগী ক্রিকেটাররা।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত আসরের বকেয়া পাওনা এখনো পাননি ব্রাদার্স ইউনিয়নের ক্রিকেটাররা। সেই অর্থ পেতে বিসিবির সাহায্য চাইতে রোববার মিরপুরের কার্যালয়ে যান অলক কাপালিরা। প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের কাছে এনিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছেন তারা।
যদিও কাপালি-জুনায়েদ সিদ্দিকীরা আবারো সেই পুরনো আশ্বাসটাই পেয়েছেন। নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানালেন, আগামী মাসের মধ্যেই বকেয়া পাওনা পরিশোধ হবে। যদিও এনিয়ে সরব ব্রাদার্স অধিনায়ক সহসাই সমাধান চাইছেন।
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার কাপালি রোববার গণমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘দেখুন, আমরা এই প্রস্তাবটা মেনে নিতে পারছি না। কারণ তারা আড়াই মাস আগেও এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। এরপর রোজার ঈদ শেষ হয়েছে। এখন কোরবানির ঈদও এসে গেছে। পাওনা অর্থের কোন খবর নেই। এখন বলা হচ্ছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে টাকা পাবো।’
কাপালি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকেও দেখছেন বিষয়টা। জানাচ্ছিলেন, ‘প্রিমিয়ার লিগের টাকা দিয়েই সবাই চলে। বিসিএলে খেলার সুযোগ সবাই পায় না। প্রিমিয়ার লিগই আমাদের মতো ক্রিকেটারের রুটি-রুজির সংস্থান করেন। এখন ঈদের সামনে এসে যদি এই কথা শুনি তবে তো বিস্মিত হতেই হয়। বিসিবির কাছে অনুরোধ থাকবে- প্লেয়ার্স বাই চয়েজ যাতে না করা হয়; চুক্তিতে খেললে কিন্তু সমস্যা হয় না। চুক্তিতে খেলতে পারলে টাকাও বেশি পাই আমরা।’
এমনিতে লিগ শুরুর আগে তিন কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার নিয়মও করেছে আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)। শুরুতে ৫০ ভাগ, চলাকালীন সময়ে ২৫ ভাগ করে আর লিগ শেষ হওয়ার পর বাকী ২৫ শতাংশ।
কিন্তু ব্রাদার্স নেই নিয়ম মানেনি। গত এপ্রিলের ৫ তারিখ লিগে শেষ হলেও। পাওনা দেয়নি তারা। এর আগে একই সমস্যা নিয়ে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের ক্রিকেটাররাও বিসিবির কাছে হাজির হয়েছিলেন। এই সমস্যাটা প্রতিবছরই থাকছে ক্লাব ক্রিকেটে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এখন অবশ্য পারিশ্রমিক নিয়ে তেমন ঝামেলা নেই। তবে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো বারবারই পারিশ্রমিক দিতে গড়িমসি করে।