বর্ণবাদ বিরোধী লড়াইয়ে মুশফিক

ফুটবল, খেলা

স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 01:02:53

আমেরিকায় পুলিশের হাঁটু চাপায় জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যু পুরো পৃথিবীকে আরেকবার চিৎকার করে জানিয়ে দিল- ‘বর্ণবাদ ছিল, বর্ণবাদ আছে।’ সম্ভবত পৃথিবীর সেই শুরুর দিন থেকেই বর্ণবাদের বিষবাষ্পের উদগীরণ। তবে বর্ণবাদের এই কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে মানুষ আগেও রুখে দাঁড়িয়েছিল। আজও দাঁড়িয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের মানুষও এই বর্ণবাদ বিরোধী মিছিলে সামিল হচ্ছেন। সেই তালিকায় নিজের উপস্থিতি জানালেন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার ১৩ জুন সকালে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি দিয়েছেন। সেই ছবিতে মুশফিক হাতে ধরে রেখেছেন একটি পোস্টার। যেখানে শ্লোগানের ভঙ্গিতে লেখা- ‘আমি বর্ণবাদকে ঘৃণা করি। আসুন বর্ণবাদকে না বলি।’

গায়ের রংয়ের জন্য শুধু সাধারণ মানুষ নয়, খেলার জগতের অনেক তারকাও বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন। সেই গোমর ফাঁস করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। সেই সঙ্গে ক্যারিবীয় ক্রিকেট গ্রেট ক্রিস গেইলও বলেছেন-‘ক্রিকেটেও আছে বর্ণবাদের থাবা।’

ড্যারেন স্যামির অভিযোগ ভারতে আইপিএল খেলার সময় তাকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সতীর্থরা তাকে ‘কালু’ বলে ডাকতো। সেসময়টায় তিনি ‘কালু’ শব্দের অর্থ ঠিক বুঝতেন না। ধারণা করেছিলেন তার শক্তিমত্তায় ভরা শরীর দেখে হয়তো ভারতীয় সতীর্থরা তাকে এই নামে ডাকতেন। স্যামি তখন ভাবতেন- এই শব্দের অর্থ বোধয় ‘শক্তিশালী ঘোড়া’, এমন কিছু হবে!

কিন্তু এখন স্যামি ‘কালু’ শব্দের অর্থ জানেন। আর এটাও জানেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে কে তাকে এমন বর্ণবাদী নামে ডাকতো। মূলত তার গায়ের রংয়ের কারণেই তাকে এই নামে ডাকা হতো।

গায়ের রং, শরীরের উচ্চতা বা দেহের অন্যান্য অংশের আকৃতি বা বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাউকে উপহাস কিম্বা বক্রোক্তি করাটাও বর্ণবাদের আচরণের সামিল। আইসিসি যদিও মাঠে, গ্যালারিতে বা ক্রিকেট চত্বরে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের কঠোর অবস্থানের কথা বলে আসছে, কিন্তু তারপরও আচার-আচরণ, কথা-বার্তায়, শ্লেষে, ইঙ্গিতে ক্রিকেটাররা বর্ণবাদের শিকার হচ্ছেন।

বর্ণবাদের সেই থাবা এবং রোষানল থেকে বেরিয়ে আসার একটাই উপায়-প্রতিবাদ করা। মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পোস্টার এবং এর ভাষা সেই প্রতিবাদ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর