করোনার দুঃসময়ে গৃহবন্দী হয়েই ছিলেন তিনি। ট্র্যাকে নামার সুযোগই মিলছিল না। ঠিক তখনই পেলেন দুঃসংবাদ! টানা তৃতীয়বার ডোপ টেস্টে হাজির না হওয়ায় নিষিদ্ধ ক্রিস্টিয়ান কোলম্যান। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বর্তমান চ্যাম্পিয়নকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে অ্যাথলেটিকস ইনটেগ্রিটি ইউনিট (এআইইউ)।
গতবছরের ৯ ডিসেম্বর ডোপ টেস্ট দিতে ডাকা হয় তাকে। এর আগেও দুবার ডাক মিলেছিল। কিন্তু তিনবারই অনুপস্থিত! ব্যস, তার পথ ধরেই এবার নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন ২৪ বছর বয়সী যুক্তরাষ্ট্রের এ অ্যাথলিট।
যদিও কোলম্যান বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি- ডোপ টেস্টের সময় বড় দিন উপলক্ষে শপিং করতে বাইরে ছিলেন। তার বাড়িতে আসার আগে কোনো সংবাদ দেয়নি কমিটির লোকজন।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এই অ্যাথলিট বলেন, 'দেখুন, আমি কখনো পারফরম্যান্স বৃদ্ধিকারী কোনো ওষুধ গ্রহণ করিনি আর কখনো করবও না। নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য আমি আমার বাকি ক্যারিয়ারে প্রতিটা দিন ড্রাগ টেস্ট দিতে রাজি রয়েছি। আমাকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। যদিও এটা প্রমাণের কোনো সুযোগ নেই!'
অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির নিয়মে বলা আছে, অ্যাথলিটরা কখন, কোথায় থাকবেন সেটা কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। একইসঙ্গে কোথায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, কোথায় থাকছেন তাও জানাতে হবে। ১২ মাসে তিনবার এই তথ্য জানাতে ব্যর্থ হলে তিনি শাস্তি পাবেন।
এ অবস্থায় কোলম্যান দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। টোকিও অলিম্পিকে নাও দেখা যেতে পারে তাকে। সবশেষ ২০১৯ সালে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের কাতার আসরে স্বদেশী জাস্টিন গ্যাটলিনকে হারিয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জেতেন তিনি।