১৫ মার্চের পর ৬ জুলাই। ক্যালেন্ডারের পাতা জানাচ্ছে মাঝে সময় কেটেছে ১১২ দিন। এই লম্বা সময়ের পর ১১৩ দিনের মাথায় ফের মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে এসেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ১৫ মার্চ এই মাঠে ক্রিকেট খেলেছিলেন। সেটি ছিল প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে আবাহনীর ম্যাচ। সেই ম্যাচের পর আবার ৬ জুলাই, সোমবার দুপুরে মাঠে এলেন। ছবি তুললেন। এবং ফিরে গেলেন একরাশ দুঃখ নিয়ে-‘মিস করছি চমৎকার এই ভেন্যূকে। একমাত্র সর্বশক্তিমানই জানেন কবে আবার আমরা এখানে অনুশীলন শুরু করতে পারবো!’
করোনাভাইরাস মহামারির দুর্যোগের পর থেকে দেশের অন্যান্য খেলাধুলার মতো সবধরনের ক্রিকেটও স্থগিত। ক্রিকেটাররা নিজ বাসাবাড়িতেই ফিটনেসের কাজ সারছেন। বাসার গ্যারেজে মুশফিক রহিম, এনামুল হক বিজয়, তাসকিন আহমেদরা টেনিস বলে হালকা অনুশীলন করছেন।
কিন্তু তাতে কি আর খোলা মাঠে অনুশীলন চর্চার সুখ মিটে? মাঠে ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে সেটা সম্ভবপর হচ্ছে না।
৬ জুলাই, সোমবার দুপুরে মুশফিক বিসিবিতে এসেছিলেন ব্যক্তিগত একটা কাজে। অনুশীলন করতে পারবেন না জেনেও মাঠে ঠিকই নামেন। মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস পরে সামাজিক দূরত্বের বিধি বিধান মেনেই বিসিবিতে আসেন মুশফিক। অনেকদিন পরে এই ষ্টেডিয়ামে পা দিয়ে কিছুটা নষ্টালজিকও হয়ে পড়েন জাতীয় দলের এই উইকেটকিপার কাম মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামের প্রতিটি কর্ণারের সঙ্গে যে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের চেনা পরিচয় অন্যরকম। এটা যে বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট!
এই মাঠে নিজের খেলা সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের সেই টেস্ট ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও মুশফিক। সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসের দিকে তাকিয়ে মুশফিকও সেই সাফল্যভরা সোনালি দিনগুলো নিয়ে স্মৃতি কাতর হয়ে পড়েন। ক্রিকেট মাঠে ফেরার জন্য তার মনপ্রাণ কেমন টানছে সেই অনুভুতি গোপন রাখার কোন চেষ্টা করেননি।
এই সময়টায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল বিধি বিধান মেনে যথাযথ নিরাপত্তায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোথাও ক্রিকেট অনুশীলন শুরু করা যায় কিনা- সেই পরিকল্পনাও করছেন এখন ক্রিকেটাররা। তবে বিসিবি’র কাছ থেকে আগে অনুমতি নিতে হবে। বিসিবি হ্যাঁ বললেই হ্যাঁ, না বললেই না।