ঢাকার ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই সংসার চলে অনেক ক্রিকেটারের। তাদের রুটি-রুজির সংস্থান হয় লিগ খেলেই। কিন্তু এবার করোনার কারণে সর্বনাশ। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থমকে আছে এক রাউন্ড শেষেই। এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপাকে আছে ক্রিকেটাররা। কারণ অনেকেই শর্ত অনুযায়ী প্রাপ্য অর্থ এখনো পাননি।
এ অবস্থায় ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিসিবি’কে অনুরোধ করেছে। কোয়াবের অনলাইন সভায় একদিন আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরপরই বিসিবি’র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী ও ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ পরিস্থিতি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
লিগ থমকে গেছে এক রাউন্ড পরই। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ এক রাউন্ড খেলা হয়েই এবারের প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত হয়ে গেছে। চার মাস ধরে খেলা বন্ধ। এ অবস্থায় নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তির সময়ই পারিশ্রমিকের ৫০ ভাগ পাওয়ার কথা ক্রিকেটারদের। তার পথ ধরে কোয়াবের বিবৃতিতে বলা হয়- প্রিমিয়ার লিগের নিয়ম ও প্রথা অনুযায়ী ক্রিকেটারদের এই অর্থ পাওয়া নিশ্চিত করতে বিসিবি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে।
খেলা শুরুর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যেন প্রিমিয়ার লিগ দিয়েই শুরু হয় তেমন দাবিও করা হয়েছে।
কোয়াব থেকে বিসিবি’র কাছে অনুরোধ জানানো হয়- প্রিমিয়ারের ক্লাবগুলো যেন যত দ্রুত সম্ভব ক্রিকেটারদের অন্তত ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক দিয়ে দেয়।
অনলাইন সভায় উপস্থিত ছিলেন কোয়াবের সভাপতি ও বিসিবি পরিচালক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, কোয়াবের সহ-সভাপতি ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল, ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, তুষার ইমরান, জহুরুল ইসলাম, নাসির হোসেন, এনামুল হক জুনিয়র, শাহরিয়ার নাফীস, নুরুল হাসান সোহান, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।