সিঙ্গাপুরে মার্কিন জায়ান্ট নির্মাতা অ্যাপল উদ্বোধন করবে তৃতীয় স্টোর। তবে এটি যেনতেন ঘরানার স্টোর নয়। এটি পানিতে ভাসমান স্টোর। অ্যাপলের এ ধরনের স্টোর এই প্রথম।
সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ‘মেরিনা বে স্যান্ডস রিসোর্টে’র কাছে ডোম অবয়বের স্টোর চালুর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে অ্যাপল।
অচিরেই স্টোরটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে। মেরিনা বের স্টোরের জায়গায় অ্যাপল ভক্তরা নতুন কিছু খুঁজে পাবেন, যুক্ত হতে পারবেন সরাসরি স্মার্ট উন্মাদনায়। অ্যাপল সূত্রে এসব কথাই জানা গেছে।
ভাসমান স্টোর হওয়ার পাশাপাশি স্টোরটি তার গোলাকৃতি আকার প্রদর্শন করবে। দিনের বেলায় দূর থেকে নতুন মেরিনা বে স্যান্ডস স্টোরটিকে কোনো স্পেসশিপ বা ভবিষ্যৎ থিয়েটারের মতো দেখাবে। রাতে স্কাইলাইন আলোকিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানটি যেন জীবন্ত হয়ে উঠবে। যা একটি আলোক প্রদর্শনীর মতো রঙিন আভা ছড়াবে।
এখনো স্টোরের অভ্যন্তরীণ কাঠামো কেমন হবে, তা যেন অজানা রহস্য। অ্যাপল অবশ্য প্রকাশিত টিজারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, স্মার্ট ঘরানার কিছু আবিষ্কার, সংযুক্ত আর তৈরিতে এটি হবে অতুলনীয় স্থান।
ভাসমান অ্যাপল স্টোরে থাকবে গ্লাস প্যানেল। ফলে দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে আশপাশের ভবনগুলোতে স্টোরের প্রতিফলন দেখা যাবে। যা রাতে হয়ে উঠবে বর্ণিল রঙের ছটা।
ব্রিজ (ভাসমান সেতু) দিয়ে স্টোরটিতে প্রবেশ করতে হবে। আবার পাশের শপিংমল থেকে আন্ডারওয়াটার টানেল দিয়েও স্টোরে ঢোকা যাবে। তবে ভাসমান অ্যাপল স্টোরের ভেতরের নকশা জানাতে ভক্তদের আরও কিছুদিন অপেক্ষাতেই রাখবে অ্যাপল।
করোনার কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই ব্যয় সংকোচনের দিকে ঝুঁকছে। অ্যাপল এখনো এমনটা করেনি। চলতি আগস্টেই তারা ২ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যমানের কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। করোনার মধ্যেও তাদের শেয়ারমূল্য বাড়ছে রেকর্ড পরিমাণে।
সিঙ্গাপুরে এটি হবে অ্যাপলের তৃতীয় স্টোর। ২০১৭ সালে এরচার্ড রোড শপিংমলে, তারপর ২০১৯ সালে চ্যাঙ্গি বিমানবন্দরে অ্যাপল স্টোর তৈরি করা হয়। সারা বিশ্বের মধ্যে এটি হতে যাচ্ছে অ্যাপলের ৫১২তম স্টোর।