তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিয়োগ ও বিনিয়োগ বাড়াতে জাপানি ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত ওয়েবিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন জাপান দূতাবাসের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান ড. জিয়াউল আবেদীন।
এতে সরাসরি অংশ নেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর উদ্দিন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, টোকিও দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার।
দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিলর ড. আরিফুল হকের সঞ্চালনায় বাংলাদেশের ৫০টি আইটি প্রতিষ্ঠান এবং জাপানের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধিও এতে যোগ দেন।
বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আয়োজিত ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের পথ সুগম করতে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ যেমন— হাইটেক পার্ক, কর সুবিধা, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের তথ্যচিত্র তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম বলেন, বাংলাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে সরকার। যার মধ্যে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি, সিলেট হাইটেক প্রজেক্ট, বঙ্গবন্ধু হাইটেক প্রজেক্ট রাজশাহী, শেখ কামাল হাইটেক পার্ক এবং ইনকিউবেশন সেন্টারসহ বেশ কিছু প্রকল্প অন্যতম।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ ‘চতুর্থ বিপ্লব’ নামের নতুন ডিজিটাল বিপ্লব থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করা। যা সফল করতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়া হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরিতেও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, জাপান ডেস্ক প্রতিষ্ঠায় বেসিসের উদ্যোগ সময়োপযোগী। বর্তমানে চার শতাধিক কোম্পানি বিশ্বজুড়ে ৬০টির বেশি দেশে আইটি ও সফটওয়্যার রফতানির সাথে জড়িত। করোনার কারণে ই-কমার্স ব্যবসার নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, জাপান-বাংলাদেশের মধ্যে ‘বেসিস জাপান ডেস্ক’ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় কার্যকর মাইলফলক হবে। জাপানে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ অফশোর ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপনে উৎসাহিত করবে। সফটওয়্যার একটি অদৃশ্য পণ্য হলেও সবসময় এমনকি করোনার সময়েও যার প্রয়োজনীয়তা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি খাত দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি খাত হিসেবে পরিচিতি পাবে। ফলে এ খাতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের (জেট্রো) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইউজি আন্দো, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা) উপ-পরিচালক সিইকো ইয়ামাবে, জাপান ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের (জিসা) মাসাইউকি ওসুকা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি আলমাস কবির এবং ফুজিতসু রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাইদুল ইসলাম।
সভা আয়োজনে সহযোগিতা করে আইসিটি বিভাগ ঢাকা, জাইকা; ইউনাইটেড নেশন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এবং বেসিস।###