দেশি ই-কমার্সে ক্রেতা ৫ কোটি!

, টেক

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 05:35:14

দারাজ বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘সবার জন্য ই-কমার্স ইকোসিস্টেম’ শিরোনামে ভার্চুয়াল প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার মূল বিষয় ছিল ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট নীতি নিয়ে সঠিক ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া।

আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল এবং দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক। 

নিত্যনতুন প্রযুক্তি আসছে। ই-কমার্স ব্যবসায় বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে প্রবৃদ্ধির দিকে। যা দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ। প্যানেল আলোচনায় বক্তারা ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধির সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ই-কমার্স খাতে আমাদের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। অগ্রগতি যে হারে হয়েছে তা আগামী তিন বছরের প্রত্যাশিত হারের সমান। এমন কি করোনা সময়েও দেশি ই-কমার্স খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ই-কমার্সের কারণে করোনা সময়ে টিসিব’র পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। অচিরেই সব অংশীদারের সমন্বয়ে এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। 

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ। ই-কমার্স প্রসারে সরকার তিনটি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করেছে যেমন উচ্চগতির ইন্টারনেট, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা এবং আস্থা। এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আজহায় অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কোরবানির পশু কেনার পরামর্শ দিয়েছেন। আইসিটি খাতে নারীদের অংশগ্রহণে ভারসাম্য তৈরিতেও ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ। দারাজের মতো ই-কমার্স সাইটগুলোর জন্য দেশি উদ্যোক্তারা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে নিজেদের পণ্য বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে।

ই কমার্স প্রসঙ্গে দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক জানান, ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধিতে ই-কমার্স ইকোসিস্টেমবান্ধব নীতিমালা প্রয়োজন। নীতিমালায় তিনটি বিষয় থাকা উচিত। যেমন গ্রাহক সুবিধা বিবেচনায় সহজে বাস্তবায়নযোগ্য প্রক্রিয়া, আন্ত:সীমান্ত ই-কমার্স ও আমদানি-রফতানি নীতিমালায় এর অন্তর্ভুক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয় এবং অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা। এসব নিশ্চিত করা গেলে ই-কমার্স সাইটগুলো ৫ কোটি ক্রেতা পাবে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে।

অনলাইন আলোচনায় দেশের অর্থনীতিতে ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধির ভূমিকা, এ খাতের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় নানা বিষয়, কার্যক্রম প্রক্রিয়ার সহজীকরণ, ডেলিভারি ছাড়াও কমপ্লায়েন্সের নিশ্চয়তা, গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা, নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ই-কমার্সের ভূমিকা, তরুণদের কর্মসংস্থান ও তাদের সঠিক দক্ষতার উন্নয়ন এবং শিল্পখাতের স্বচ্ছতার বিষয় নিয়ে বক্তারা কথা বলেন। আলোচনা সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো’র হেড অব ডিজিটাল বিজনেস জাবেদ সুলতান পিয়াস।

এ সম্পর্কিত আরও খবর