বিদেশ থেকে ফোন কল আসার পরিমাণ দিনে দিনে কমছে। এক হিসাব থেকে জানা গেছে, বর্তমানে দিনে বিদেশ থেকে আসা কলের পরিমাণ চার কোটি মিনিট। অথচ বিদেশ থেকে আসা কলের পরিমাণ আগে ছিল দিনে ১১ কোটি মিনিট।
কল কমে যাওয়ার কারণে এই খাত থেকে আয়ও কমেছে কয়েকগুণ। ৬ বছর আগে এই খাত থেকে সরকারের আয় হতো ১৬০০ কোটি টাকা। এখন থেকে নেমে এসেছে ৫০০ কোটি টাকায়।
এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইজিডব্লিউ (ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে) লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকা এবং ওটিটি (ওভার দ্য টপ) নিয়েও কোনো নীতিমালা না থাকায় এই খাতের এখন বেহাল দশা। আইজিডব্লিউতে রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ সরকার প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাবে ৬টি কোম্পানির কাছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাগাদা সত্বেও এই টাকা পাচ্ছে না সরকার।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সরকার ২০০৮ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক গেটওয়ে বা আইজিডব্লিউর লাইসেন্স চালু করে। ওই সময় মাত্র চারটি কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। এর কয়েক বছরের মাথায় দেওয়া হয় আরো ২৫টি লাইসেন্স। সম্প্রতি এই লাইসেন্স পেতে আরো ১৪টি কোম্পানি আবেদন করেছে।
নীতিমালা না থাকা ছাড়াও দেশে কল ঢুকতে প্রতি মিনিটের রেট দেড় সেন্টের জায়গায় দুই সেন্ট করাও এই খাতের দৈন্যদশার অন্যতম কারণ। প্রতি মিনিটের রেট বেড়ে যাওয়ার ফলে অবৈধ কলের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে সরকারের আয়ও কমে গিয়েছে।
তাছাড়া সাম্প্রতিককালে ফেসবুক, হোয়াটসআ্যাপ, ভাইবার, ইমোর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রবাসীরা দেশে আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে কথা বলছেন। এটিও বিদেশ থেকে বৈধপথে কল কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না করায় এখান থেকেও সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। যদিও সরকার চলতি অর্থ বছর থেকে ফেসবুক, গুগলের মতো কোম্পানিকে করের আওতায় এনেছে। কিন্তু এই কর কিভাবে আদায় হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি।