টেলিযোগাযোগ খাতে ইউনিফাইড লাইসেন্স প্রবর্তন করা উচিত-রবি সিইও

মোবাইল ফোন, টেক

ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-15 15:20:09

দেশের অন্যতম মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, টেলিযোগাযোগ খাতে দেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য সমন্বিত বা ইউনিফাইড লাইসেন্সিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা উচিত। ইউনিফাইড লাইসেন্সিংয়ের মতো ব্যবসাবান্ধব সঠিক নীতিমালা ও পরিবেশ নিশ্চিত না করা হলে মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আগামীতে ব্যবসা করে টিকে থাকা কঠিন হবে।
সম্প্রতি বার্তা২৪.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ সব কথা বলেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। রবির মতো একটি বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানিতে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি সিইও।
ইউনিফাইড লাইসেন্সের ব্যাখ্যায় মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই লাইসেন্সের অর্থ হচ্ছে আমরা সব ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে পারবো। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের লাইসেন্সের মাধ্যমেই টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা পরিচালিত হয়। ২০ বছর আগে যখন আমরা এ দেশে ব্যবসা শুরু করি তখন সব সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও এখন তা নেই। এই সুযোগটা না দেওয়ায় ব্যবসায়িকভাবে আমরা ক্রমাগত লোকসান দিয়ে যাচ্ছি, একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে যে হারে উন্নতির দরকার ছিল তা হচ্ছে না। বাজারে এখন শত শত আইএসপি রয়েছে, অথচ তারা ইন্টারনেট সেবা নিয়ে গ্রামেগঞ্জে যেতে পারছে না। আবার আমাদেরও আটকে দেওয়া হচ্ছে। এ সব বিষয় উন্মুক্ত করা উচিত।

মালয়েশিয়াভিত্তিক এই কোম্পানির সিইও বলেন, নতুন কোনো অপারেটর দেশে আসছে না। অথচ ৩জি ও ৪জি এর সময় সরকার উৎসাহিত করেছিল আরো অপারেটর আসুক। আমাদের অবস্থা দেখে কেউ কিন্তু এ বাজারে আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। আমাদের এই শিল্পের প্রকৃত অবস্থা নিয়ে সরকারের একটি বিশদ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা দরকার।

মাহতাব বলেন, ‘‘আমরা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। ওনারা যে আমাদের সমস্যাগুলো বুঝতেই পারছেন না, এগুলো নিয়েকাজ করছেন না-তা নয়। এই শিল্পকে সহায়তা দিতে ওনারা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে তা যথেষ্ঠ নয়। প্রক্রিয়াটা আরো দ্রুত হতে হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা যখন এ দেশে টেলিকম লাইসেন্স নেই তখন আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, ফাইবার বসানো, টাওয়ার স্থাপনসহ সব কাজ আমরা করতে পারতাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো একে একে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে আমাদের ব্যবসা পরিচালনার খরচ কমছে না, আরো বাড়ছে। যাদের ব্যবসা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের লাভ হলেও আমাদের অবস্থা খারাপ।’’

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সমস্যার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, একটি সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রাহকের কাছে পৌছানো হয়। এখানে অপারেটরদের পাশাপাশি আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, এনটিটিএনের মতো সব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। একসময় এ সব কাজ আমরাই করতাম, কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। কিন্ত গ্রাহক প্রান্তে কোনো সমস্যা হলে আমাদের ওপরই দোষারোপ আসে। গ্রাহকেরা জানেন না যে পেছনে কারা কাজ করছে। এখন সেবা দিতে যে সব সমস্যা হয় তার অধিকাংশই বিদ্যুৎ ও ফাইবার সম্পর্কিত। এসব কিছুই আমাদের হাতে নেই, আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণও করতে পারি না। আমরা লোকসান করছি, আবার নীতিমালার কারণে আমরা কিছু করতেও পারছি না।
মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক নীতিমালা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। এই খাতে মোবাইল অপারেটরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেনিয়াতে এমএফএস-এ মোবাইল অপারেটর দিয়ে বিপ্লব হয়েছে। বিশ্বে মোবাইল অপারেটর নিয়ন্ত্রিত ও ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত- দুই ধরনের মডেলই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপারেটরদের সুযোগ দেওয়া হলে সেবাটি আরো সমৃদ্ধ ও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারতো। কিন্তু কার স্বার্থে, কিসের স্বার্থে আমাদের এ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হলো, আমরা তা জানি না? অথচ রবিই প্রথম অপারেটর যারা বিকাশের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল। আমাদের সাপোর্ট সিস্টেম নিয়েই পুরো ব্যবসাটি চলে। সেখানে কেন আমাদের রাখা হবে না? আমরা সবকিছুতে অবদান রাখছি। কিন্তু আমাদের সব জায়গা থেকে বের করে আনা হচ্ছে। এটি দেশ ও টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য ভালো নয়।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের ই-কমার্স ব্যবসায় সুযোগ দেওয়ার বিরোধিতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশীয় কোম্পানিকে সহযোগিতা করা উচিত। তবে উম্মুক্ত অর্থনীতির যুগে তা এমনভাবে করা উচিৎ নয়, যা দেশের ভালো নয়। এখানে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। ই-কমার্সে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ লাগে। আমাজান কতবছর লোকসান দিয়ে আজকের পর্যায়ে এসেছে তাও মাথায় রাখতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের চিন্তা থেকে এই ব্যবসায় নামতে হবে। এখানে যদি সঠিক নীতিমালা না নেওয়া হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ তা পিছিয়ে যাবে। এখানে যত দেরি করবো ততো তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। একটা সময় সরকার বিষয়টি উপলদ্ধি করবে।

রবির সিইও হিসেবে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর সুপুন বিরাসিংহের স্থলাভিষিক্ত হন মাহতাব উদ্দিন আহমদ। রবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ১৭ বছর ধরে আরেক বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারের সাথে কাজ করেছেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। যেমন, ইউনিলিভার পাকিস্তান, ইউনিলিভার আরাবিয়া ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের মত অপারেটিং কোম্পানিগুলোতে ফিন্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন মাহতাব ।

ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপের মতো ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ওটিটি(ওভার দ্য টপ) সেবার প্রসঙ্গে রবির প্রধান নির্বাহী বলেন, এগুলোর ব্যবহার নিয়ে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। আমাদের যদি ১০০ টাকা আয় হয়, তার ৪৬ টাকা সরকার কর হিসেবে নিয়ে যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওটিটিকে করের আওতায় আনার প্রক্রিয়া নেই। তারা আমাদের অবকাঠামো ব্যবহার করছে কিন্তু তাদের চার্জ করতে পারছি না। এতে অপারেটর ও দেশ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এটি আরো খারাপ পর্যায়ে চলে যাবে। এখনো আমাদের ৬৬ শতাংশ আয়ই আসে ভয়েস কল থেকে। তবে ৪জি এর যত প্রসার হবে ওটিটির আগ্রাসন আরো বাড়বে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
৫জি নিয়ে রবির পরিকল্পনার বিষয়ে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৫জিতে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। এ ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে এবং সেটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। ৪জিতে এখন ম্যাসিভ মাইমো (ম্যাক্সিমাম ইনপুট ম্যাক্সিমাম আউটপুট) নামের একটি প্রযুক্তি এসেছে, এটি ইনস্টল করা হলে ৫জি দরকার হবে না। এতেই গতি বেড়ে যাবে। ওই জায়গায় কাজ করার একটি পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। তবে এর আগে ৪জিকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। কারণ এখানে আমরা ইতিমধ্যে অনেক বিনিয়োগ করেছি। এর আগে ৩জিতে বিপুল বিনিয়োগ করে লোকসান করেছি। ২০২১ সালের দিকে জিএসএমএ ৫জি নিয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করবে। তবে কেন আমি ৫জি চাই এজন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করতে হবে। এরপর ৫জিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। ইউটিউব দেখার জন্য ৫জি দরকার নেই, ৩জি যথেষ্ট। যে শিল্পের সমর্থনের জন্য ৫জি করা তা আগে তৈরি করতে হবে। তা না হলে এটি অপারেটরদের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

শুধু ভয়েস কল আর ইন্টারেনট ডেটাকে কেন্দ্র করে আগামী দিনের ব্যবসায় টিকে থাকা যাবে না বলে মনে করেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ জন্য ডিজিটাল লাইনে নতুন আর কি কি করা যায় তা নিয়ে কাজ করছি। আইটি প্লাটফর্ম, অ্যাপস তৈরিসহ বিভিন্ন দিকে মনোযাগ দিচ্ছি, এন্টারপ্রাইজ ব্যবসায় ফোকাস করছি। নন-টেলকো বা নন-কোর ববসা গুলো শুরু করতে চাই। এটা নিয়ে গ্রুপের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। আর এজন্যই গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে প্লট নিয়েছি। নন-কোর টেলিকম ব্যবসার বাইরে আজিয়াটার অনেক কাজের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন কোম্পানি গঠন করে এসব ব্যবসা এখানে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশকে রিজিওনাল হাব হিসেবে বানাতে কাজ করছি। এখনকার যে নীতিমালা রয়েছে তা বেশ আকর্ষণীয়। যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োগ করলে এটি বিনিয়োগের ভালো সুযোগ করে দেবে।

সম্প্রতি চালু হওয়া মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা নিয়ে রবির সিইও বলেন, পৃথিবীর খুব কম দেশেই এমএনপি সফলতা পেয়েছে। আমরা যেমন ফ্রিডম অব ইনভেস্টমেন্টের কথা বলি তেমনি গ্রাহকদেরও স্বাধীনতা থাকা উচিত। এমএনপির মাধ্যমে সে সুযোগ করে দেওয়ায় সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এটি যে শিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে তা মনে করি না। এমএনপি চালুর প্রথম ৫দিনে গ্রাহকের একটি বড় অংশ রবিতে এসেছে। অপারেটর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক ও কলরেট গ্রাহকের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুটি বিষয়েই আমরা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছি। এমএনপিতে আমরা যে সাড়া পাচ্ছি তাতে আমরা খুবই আনন্দিত। সারাদেশে রবি ভালো সেবা দিতে পারছে বলেই সবাই এখানে আসছে।
অভিন্ন কলরেট নিয়ে মতামত জানতে চাইলে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি নিয়ে গণমাধ্যম ও কিছু আলোচনায় ভুল বোঝাবুঝি দেখেছি। অন-নেট ও অফ-নেট পদ্ধতি বড় অপারেটরকে সুবিধা দেয়। এটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেবে না। এটি গ্রাহকের জন্য ভালো নয়। যে কারণে বিশ্বের কোনো দেশে এটি নেই। সর্বশেষ দেশ হিসেবে আমরা এটি তুলে দিয়েছি। এটি নিয়ে কারো অভিযোগ থাকা উচিত নয়। আর অভিন্ন কলরেটের আগে সব মোবাইল অপারেটরের কলরেটই মিনিট প্রতি ৫৫ থেকে ৫৭ পয়সা ছিল। এখন রবিতে মিনিটে ৫০ পয়সা খরচে গ্রাহকেরা কথা বলতে পারছেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারের কারণে এই রেটও থাকবে না। এটি ৪৫ পয়সাতে চলে আসবে। ফলে আগে যে কলরেট ৫৫ থেকে ৫৭ পয়সা ছিল প্রতিযোগিতামূলক বাজারের কারণে তা এক সময় ৪৫ পয়সায় নেমে আসবে। অথ্যার্ৎ রেটের সুফল গ্রাহকরাই পাবে।

৪জি নেটওয়ার্ক প্রসারে রবির কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৪জিতে আমরা যে বিনিয়োগ করেছি তা যৌক্তিক করতে হলে পেনেট্রেশন বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যেই দেশের ৯৯ শতাংশ উপজেলায় আমরা ৪জি পৌছে দিয়েছি। যেটা আমরা আগে কখনো করিনি। এবার শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ বাজারে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে মনোযোগ দিয়েছি। নেটওয়ার্কের পাশাপাশি ৪জির ব্যবহার বাড়ানোর আরেকটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিভাইস। এই ব্যাপারে এখনো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যেমন ভারতে জিও ১৫০০ টাকায় ৪জি ডিভাইস ছাড়তে পেরেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার পরেও আমরা তা করতে পারিনি, ৪/৫ হাজার টাকার নিচে কোনো ডিভাইস বাজারে দেখছি না। দেশে মানসম্মত ৪জি ডিভাইস হলে তা ৬/৭ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যায় না। যদি ফিচার একটু বেশি খারাপ হয় তাহলে ৪জি এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে না, তখন নেটওয়ার্ক নিয়ে অভিযোগ করা হবে। ডিভাইস যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক দাম সঠিকভাবে সাধারণ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে না পারছি ততক্ষণ ৪জি যে পর্যায়ে নিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি তা হবে না। সেখানে আমি মনে করি সরকার এবং ভেন্ডর ও ম্যানুফ্যাকচারারকে একটি দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ অপারেটর চাইলেই ডিভাইস আমদানি করে বিক্রি করতে পারে না। এমন লো-কস্ট ডিভাইস আমদানির ক্ষেত্রে অপারেটরদের তেমন স্বাধীনতা নেই। আসল ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সঠিক অর্থে পৌছে দিতে ডিভাইস পেনেট্রেশন একটি বড় বাধা ৪জি পেনেট্রেশনে। প্রতি মাসে আমরা কয়েক লাখ ফোন বিক্রি করতে পারি। আমরা যদি সরাসরি বিক্রি করতে পারি তাহলে মূল্য কমে যাবে।

লোকসানের বেড়াজাল থেকে কেন রবি বেরিয়ে আসতে পারছেনা-এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মুনাফা করা শুরু করেছিলাম ২০১২-১৩ সালের দিকে। এরপর আবার লোকসানে চলে যাই। ৩জি আসার পর ২০১৭ পর্যন্ত বড় বিনিয়োগ করতে হয়। সব অপারেটর মিলে ৩জিতে ৩২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে। এখন পর্যন্ত এই বিনিয়োগের এক তৃতীয়াংশও আমরা তুলে আনতে পারিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর