২০১৮ এর প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯,৮০১ কোটি টাকা যা আগের বছরের তুলনায় ১.৯% বেশি। এই সময়কালে ২৬.৬% মার্জিনসহ কর পরবর্তী নেট মুনাফা হয়েছে ২,৬০১ কোটি টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৯.৩১ টাকা।
গত বছরের তুলনায় ইন্টারনেট থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ১৯.৫% আর ভয়েস রাজস্ব বেড়েছে ৪.৮% । অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি পরিবর্তনের ফলে গত বছরের তুলনায় মোট রাজস্ব প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫.১%।
মঙ্গলবার গ্রামীণফোনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গ্রামীণফোন লিমিটেড ৭ কোটি ১৪ লক্ষ গ্রাহক এবং আগের বছরের তুলনায় ১১.৮% প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০১৮ এর ৩য় প্রান্তিক শেষ করেছে। ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ হওয়ায় গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কের মোট গ্রাহকের ৫০.৯% এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোন সিইও মাইকেল ফোলি বলেন," ২০১৮ এর ৩য় প্রান্তিকে বেশ কিছু নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইন্টারনেটে ভ্যাট হ্রাস এবং সমন্বিত ফ্লোর ট্যারিফ।" তিনি বলেন,"এই সময়ে আমরা ৩৮ লাখ ৪জি গ্রাহক অর্জন করেছি এবং আমাদের মোট গ্রাহকের অর্ধেকের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। আমাদের নতুন ভয়েস এবং ডাটা অফার গুলো বাজারে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে।"
গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিখ ব্রোতেন বলেন, "কোম্পানি গ্রাহকদের সেরা নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দিতে এবং মানসম্পন্ন গ্রাহক সংগ্রহে মনোযোগ দিয়েছে।"
এ বছর গ্রামীণফোন ৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩,০০০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই প্রান্তিকে কোম্পানি কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম প্রাপ্তি, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও লাইসেন্স ফি বাবদ সরকারি কোষাগারে ২,১০৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৬২.৪%। সরকারি কোষাগারে এ বছরের মোট অবদান ৬,৯০১ কোটি টাকা।