চেহারা শনাক্তকরণ বা ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক। একইসঙ্গে তাদের এক বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীর মুখের ছাপ মুছে ফেলার কথা জানিয়েছে ফেসবুক। খবর সিএনএনের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেসবুকে কোনো ছবি পোস্ট করলে সেই ছবিতে থাকা মানুষের চেহারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্যাগ হয়ে যায়। ফেসবুকে পোস্ট করা পুরোনো ছবিতে মানুষের চেহারা থাকলে, তারা প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই ডাটা সংগ্রহে রাখতেন। পরে ব্যবহারকারীরা কোনো ছবি পোস্ট দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্যাগ হয়ে যেতো।
২০১৯ সালে এটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হওয়ার পর তা ম্যানুয়ালি বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয় ফেসবুক। তখন কোনো ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার না করলে ফিচারটি বন্ধ রাখতে পারতেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এটা বন্ধ করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ফেসবুকের ফটো ট্যাগিং ফিচারে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে কোম্পানিটিকে এক মামলায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের নাম পরিবর্তন করে ‘মেটা’ করে। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) মেটার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরোম পেসেন্টি এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রযুক্তির ইতিহাসে চেহারা শনাক্তকরণ সিস্টেম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীদের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি আমাদের চেহারা শনাক্তকরণ ফিচারটি বেছে নিয়েছে। এটি অপসারণের ফলে এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষের স্বতন্ত্র চেহারার টেমপ্লেট মুছে ফেলা হবে।’
জেরোম পেসেন্টি বলেন, ‘সমাজে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি সম্পর্কে অনেকের উদ্বেগ রয়েছে এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাদেরও এর ব্যবহার নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়নি। চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে আমরা মনে করছি, ফেসিয়াল রিকগনিশনের ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ রাখাই যুক্তিযুক্ত।’