জার্মানির বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউ নতুন মডেল নিয়ে হাজির হয়েছে বাংলাদেশের বাজারে। নতুন এই গাড়ি ইলেক্ট্রিক প্লাস ফুয়েলে নয় বরং সম্পূর্ণরূপে ব্যাটারিতে চলবে। বিএমডব্লিউ ৭৪০এলই এক্সড্রাইভ মডেলের এই গাড়ির দাম ধরা হয়েছে দুই কোটি ২২ লাখ টাকা।
এক্সিকিউটিভ মটরস এর হাত ধরে হাইব্রিড আই পারফমেন্সের প্লাগ-ইন গাড়িতে এ সুবিধা পাওয়া যাবে। ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার চলবে এই গাড়ি এবং চলাকালীন অবস্থায়ই হবে এর ব্যাটারি চার্জ।
শনিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক্সিকিউটিভ মটরস এর নিজস্ব শো রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের বাজারে যাত্রা শুরু হয় এই গাড়ির। এই ধরণের হাইব্রিড প্লাগইন গাড়ি জ্বালানি সাশ্রয়ী। পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ খুব স্বল্পমাত্রায় হওয়ায় খুবই পরিবেশবান্ধব।
বর্তমানে এক্সিকিউটিভ মটরস এর শো রুমে ইলেক্ট্রিক প্লাস ফুয়েলে চলা আরও দুটি মডেলের নতুন গাড়ি পাওয়া যাবে। মডেলগুলো হলো-বিএমডব্লিউ ৫৩০ই ও বিএমডব্লিউ এক্স ফাইভ এক্সড্রাইভ ৪০ই। গাড়িগুলোর দাম যথাক্রমে এক কোটি ২৫ লাখ ও এক কোটি ১৮ লাখ টাকা।
গাড়ির উল্লেখযোগ্য দিক জানাতে গিয়ে এক্সিকিউটিভ মটরস এর ডিরেক্টর (অপারেশন) দেওয়ান মুহাম্মদ সাজিদ আফজাল বলেন, ‘এই গাড়ি খুবই ফুয়েল ইফিশিয়েন্ট, ঢাকার ট্রাফিকে যেখানে একজন মানুষ প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার কমিউট করে সে হিসাব করতে গেলে একজন ইউজার প্রতিদিন একবার চার্জেই ফুয়েল ছাড়াই ঢাকাতে চলাচল করতে পারবেন।
তিনি জানান, পূর্বে বিএমডব্লিউ ৫৩০ই মডেলটির দাম ছিলো এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কিন্তু পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে ট্যাক্স কমিয়ে দেওয়ার সেই গাড়ি এক কোটি ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জানা যায়, নতুন এ তিনটি গাড়িতেই পাঁচ বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়া যাবে। যার মধ্যে রয়েছে সার্ভিস ওয়্যারেন্টি, রক্ষণাবেক্ষণ ও বিনামূল্যে মেরামত সুবিধা।
ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড ফুয়েল ইঞ্জিনের সমন্বয়ে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ব্র্যান্ড নিউ গাড়ি নিয়ে এলো বিএমডব্লিউ। আই পারফরমেন্স খ্যাত প্লাগ ইন মডেলের গাড়িগুলো এক ফোটা জ্বালানি খরচ না করেই ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম।
এই গাড়ি পরিপূর্ণ চার্জ নিতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় নেয়। অন্য দুটি মডেলে ফুয়েল সাশ্রয়ের জন্য হাইব্রিড ইঞ্জিন রয়েছে। তিনটি মোডে গাড়িগুলো ড্রাইভ করা যাবে। এছাড়াও এর বিশেষ ফিচার হচ্ছে ফুয়েলে চলা অবস্থায় এটি নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে চার্জড আপ হতে পারবে যা সাধারণ হাইব্রিড গাড়িতে সম্ভব ছিলো না।