বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) টেলিকমিউনিকেশন খাতে সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) কার্যকর করতে যাচ্ছে। আর এর ফলে বন্ধ হতে যাচ্ছে মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন খাতে মনোপলি। এক্ষেত্রে দেশের টেলিকমিউনিকেশন খাতের বৃহৎ অপারেটর গ্রামীণফোন বিপদে পড়তে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সরকার এসএমপি রেগুলেশন অনুমোদন দিয়েছে। খুব শিগগিরই একটি কার্যকর হতে যাচ্ছে। কোন অপারেটর এসএমপিতে পড়ছে আর কে পড়ছে না এসএমপি রেগুলেশন ঘোষণার পর তা জানাবে বিটিআরসি।
অনেক আগেই ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে এসএমপি চালু হয়েছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এবার তা কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মার্কেট নিয়ন্ত্রণের জন্যেই বিভিন্ন দেশে এসএমপি চালু করা হয়।
মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা, তরঙ্গ ও রাজস্ব আয়ের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েই একটি অপারেটরকে এসএমপি ঘোষণা করা হবে। এসব বিবেচনায় দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন আটকে যেতে পারে। মূলত গ্রাহক ও রাজস্বের বিবেচনাতেই বিপদে পড়ে যেতে পারে গ্রামীণফোন।
বিটিআরসি’র নতুন এই রেগুলেশন বলছে, কোনো গ্রাহকই মার্কেটের ৪০ শতাংশের বেশি দখলে রাখতে পারবে না। গ্রাহক সংখ্যা অনুযায়ী, বর্তমানে গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৫.৮ শতাংশ, রবির ৩০ শতাংশ, বাংলালিংকের ২২ শতাংশ এবং টেলিটকের ২.৫ শতাংশ। মোবাইল অপারেটরগুলোর মোট আয়ের অর্ধেকের বেশি গ্রামীণফোনের (৫১ শতাংশ)।
দেশে বর্তমানে বাজারে মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫.৫ কোটি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনেরই রয়েছে ৭ কোটি ১১ লাখ গ্রাহক। তাই এসএমপি চালুর ঘোষণা দেওয়া হলে গ্রামীণফোন আর নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না।