দেশজুড়ে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৪ লাখ শিক্ষার্থী এবং ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষক, বাবা-মা ও অভিভাবকদের কাছে নিরাপদ ইন্টারনেট পৌঁছানোর লক্ষ্য অর্জন করেছে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মসূচি ‘বি স্মার্ট ইউজ হার্ট’। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা যাতে ডিজিটাল শিক্ষার ইতিবাচক অভিজ্ঞতা গ্রহণে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে তাদের সচেতন করে তোলাই ছিলো এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
সোমবার(১৯ নভেম্বর)এক বিবৃতিতে গ্রামীনফোন জানায়, জুন মাসে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফের যৌথ অংশীদারিত্বে শুরু হওয়া এই অনলাইন নিরাপত্তা কর্মসূচির মূলে ছিলো নিরাপদ ডিজিটাল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা ।
এছাড়াও চাইল্ড হেল্পলাইন (১০৯৮) সেবার মাধ্যমে শিশুদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের ব্যাপারে সচেতন করা।
বাংলাদেশ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এ উদ্যোগকে সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে প্রশংসা করেন।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাবা-মা, শিক্ষক ও অভিভাবক হিসেবে শিশুদের সুরক্ষিত করা এবং তাদের ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে জানানো আমাদের দায়িত্ব। আমাদের শিশুরা অনলাইনে কি করছে সে বিষয়বস্তু নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার ।
বাংলাদেশের মেধাবী তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে ধারণা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘তরুণদের হাতেই আমাদের ভবিষ্যত নিহিত। আমাদের শিশুদের সঠিক বৃদ্ধি ও উন্নয়নে নিরাপদ ইন্টারনেট অপরিহার্য।
গৃহিত উদ্যোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলি বলেন, ‘দেশের শীর্ষস্থানীয় টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা এবং সর্ববৃহৎ মোবাইল আইএসপি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এদুয়ার্দ বেগবিদি বলেন, এ উদ্যোগের প্রাসঙ্গিকতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোনের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়ে লক্ষ্য অর্জন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমি নিশ্চিত উদ্ভাবনী এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও যেসব মহতী কার্যক্রম হবে এটা তার শুরু মাত্র।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে স্কুলশিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেটের বার্তা ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। ২০১৫ সালে, গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ যৌথভাবে দায়িত্বের সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার ও এর সর্বোত্তম অনুশীলন নিয়ে বাবা-মা ও অভিভাবকদের জন্য গাইডবই প্রকাশ করে।