টেলিযোগাযোগ খাতে মনোপলি বন্ধে প্রণীত সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) রেগুলেশন জারি করেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।
এই রেগুলেশন টেলিযোগাযোগ খাতের সব ধরনের সেবা সম্পর্কিত লাইসেন্সধারীদের জন্য প্রযোজ্য হবে। মঙ্গলবার এই রেগুলেশন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এতে করে মোবাইল যোগাযোগখাতে একক মনোপলি বন্ধ হবে বলে মনে করছেন এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। আর এতে সবচেয়ে বিপদে পড়তে যাচ্ছে এই খাতে দেশের বৃহৎ অপারেটর গ্রামীণফোন।
এর আগে সরকার এসএমপি রেগুলেশন অনুমোদন দেয়। এই রেগুলেশনের ফলে কোন অপারেটর এসএমপিতে পড়ছে আর কে পড়ছে না এসএমপি রেগুলেশন ঘোষণার পর জানা যাবে।
মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা, তরঙ্গ ও রাজস্ব আয়ের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েই একটি অপারেটরকে এসএমপি ঘোষণা করা হবে। এসব বিবেচনায় দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন আটকে যেতে পারে। মূলত গ্রাহক ও রাজস্বের বিবেচনাতেই বিপদে পড়ে যেতে পারে গ্রামীণফোন।
বিটিআরসি’র নতুন এই রেগুলেশন বলছে, কোনো গ্রাহকই মার্কেটের ৪০ শতাংশের বেশি দখলে রাখতে পারবে না। গ্রাহক সংখ্যা অনুযায়ী, বর্তমানে গ্রামীণফোনের মার্কেট শেয়ার ৪৫.৮ শতাংশ, রবির ৩০ শতাংশ, বাংলালিংকের ২২ শতাংশ এবং টেলিটকের ২.৫ শতাংশ। মোবাইল অপারেটরগুলোর মোট আয়ের অর্ধেকের বেশি গ্রামীণফোনের (৫১ শতাংশ)।
দেশে বর্তমানে বাজারে মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫.৫ কোটি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনেরই রয়েছে ৭ কোটি ১১ লাখ গ্রাহক। তাই এসএমপি চালুর ঘোষণা দেওয়া হলে গ্রামীণফোন আর নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না।
অনেক আগেই ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে এসএমপি চালু হয়েছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এবার তা কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হলো। মার্কেট নিয়ন্ত্রণের জন্যেই বিভিন্ন দেশে এসএমপি চালু করা হয়।