মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন দেশে প্রথমবারের মতো পরিবেশবান্ধব ই-সিম চালু করতে যাচ্ছে। আগামী ৭ মার্চ থেকে এই ই-সিম বাজারে ছাড়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ।
রোববার (০৬ মার্চ) গ্রামীণফোন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, গ্রামীণফোন জানায়, আগামী ৭ মার্চ থেকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে গ্রাহকরা ই সিম নম্বর নিতে পারবেন।
গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে সংরক্ষণ করা থাকবে বলে ই-সিম উন্নত নিরাপত্তা দেবে। ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে বলে ই-সিম হারিয়ে যাওয়ার কোনো ঝুঁকি থাকবে না। একই সঙ্গে সিম পিনের ঝামেলা থেকেও গ্রাহকেরা রক্ষা পাবেন।
গ্রামীণফোনের নতুন ই-সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইস নিয়ে গ্রামীণফোনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এবং নির্ধারিত গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে ই-সিম সংগ্রহ করতে পারবেন।
এ ছাড়াও সিম কেনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ই-সিমের জন্য অনুরোধ করা যাবে। ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইসে থাকা ক্যামেরা দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম সক্রিয় করতে ইন্টারনেট সংযোগ (মোবাইল ডাটা অথবা ওয়াইফাই) চালু করতে হবে। সল্যুশনটি যেহেতু ডিভাইসের সাথে এমবেড করা থাকবে, তাই এ ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু করার প্রয়োজন হবে না।
আপনি যখন কোনো অপারেটরের কাছ থেকে ই-সিম কিনবেন তখন তারা আপনাকে একটি কিউআর কোড দেবে। এই কোড স্ক্যান করলে আপনার ফোন ওই অপারেটরের পরিচিতি আপনার সেটের মধ্যে থাকা ই-সিমের ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে নেবে। তখন আপনার ফোনে ওই ই-সিম ইনস্টল হয়ে যাবে। আপনার ওই ই-সিমে থাকা মোবাইল নম্বর চালু হয়ে যাবে আপনার ফোনে।
ব্যবহারকারীদের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে স্টোর করা থাকবে বলে ই-সিম উন্নত নিরাপত্তা দেবে। অপ্টিমাইজেশনের যুগে, ই-সিম প্রচলিত সিমকার্ড ও ট্রের ধারণাকে অকার্যকর করে ফেলতে পারে। বর্তমানে যেসব স্মার্টফোনে ই-সিম ব্যবহার করা যাবে। আইফোন ১৩ সিরিজ, আইফোন ১২ সিরিজ, আইফোন ১০ আর, আইফোন ১০ এস ও আইপ্যাড প্রো। স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি এস ২১ সিরিজ, এস ২০ সিরিজ। গুগলের গুগল পিক্সেল ৬ সিরিজ, পিক্সেল ৫ সিরিজ, পিক্সেল ৪ সিরিজ, পিক্সেল ৩ সিরিজে।