জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ই-সিম বিক্রির ওপর ট্যাক্স নির্ধারণ করেছে। এর ফলে ই-সিম পরিষেবা চালু করায় আর কোনও বাধা থাকলো না।
গত ২১ এপ্রিল টেলিকম নিয়ন্ত্রক এবং অপারেটরদের কাছে এনবিআরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, নিয়মিত সিম কার্ডের মতো প্রতিটি ইসিমের জন্য ২০০ টাকা ভ্যাট দিতে হবে।
এর আগে, গত ৭ মার্চ বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন বাজারে ই-সিম ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে ট্যাক্স চূড়ান্ত না হওয়ায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বিষয়টি আটকে দেয়। বিটিআরসি বলেছে, গ্রামীণফোন আগে থেকে অনুমতি নেয়নি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, আমরা জিপিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি, উত্তর পাওয়ার পর আমরা তা বিবেচনা করব।
তিনি বলেন, আমাদের নীতিগতভাবে এ ধরনের সেবা চালুর অনুমতি দিতে কোনো আপত্তি নেই। তবে অনুমতি না নিয়ে কোনো অপারেটর তা করতে পারে না। সেজন্য আমরা তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।
তবে গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, সেবাটি চালু করতে ইতিমধ্যে কমিশনের অনুমতি নিয়েছেন তারা।
গ্রামীণফোনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বলেছেন, গ্রাহকরা সোমবার (২৫ এপ্রিল) থেকে ই-সিম নিতে পারবেন।
গত ৭ এপ্রিল বিটিআরসি জানায়, এনবিআরের গ্রিন সিগনাল পেলে জিপি সেবাটি চালু করতে পারবে।
ই-সিম বা এমবেডেড-সিম হল একটি সিম কার্ড যা ম্যানুয়াল সন্নিবেশের প্রয়োজন ছাড়াই একটি মোবাইল ফোনে ইলেকট্রনিকভাবে প্রোগ্রাম করা যায়। এটি সাধারণ সিমের মতোই কাজ করে কিন্তু এর জন্য কোনো ফিজিক্যাল কার্ডের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র পূর্ব-ইন্সটল করা ই-সিম সমর্থনসহ ডিভাইসে কাজ করে।
প্রতিবেশী ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে এই সেবা চালু করেছে। সেবাটি চালু হলে গ্রামীণফোন হবে বাংলাদেশের প্রথম ই-সিম প্রদানকারী।