গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে ভ্যাট এক তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনার পর এখন পাইকারি পর্যায়ের সরবরাহ লাইনেও একই হারে কমানো হচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেটের খুচরা ব্যবহারে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এতেও খুব বেশি সুফল পাচ্ছিলেন না গ্রাহকরা।
তখন গ্রাহক পর্যায়ে কমলেও ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্টোরিয়াল কেবল বা আইটিসি, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে বা আইআইজি এবং ন্যাশন ওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক বা এনটিটিএন পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে গিয়েছিল। এসব ভ্যাটের প্রভাব চলে আসছিল গ্রাহকের ওপরেও।
এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সব পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ করছে সরকার। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমবে বলে মনে করছেন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে এটি হবে গ্রাহকদের জন্য বড় এক উপহার।
গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হল বলে সাংবাদিকদের জানান টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।
এর আগে গত ২২ নভেম্বর অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়ে এক চিঠিতে ভ্যাট কমানোর অনুরোধ করে চিঠি দেন মোস্তাফা জব্বার।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভ্যাট কমানোতে গ্রাহকের ব্যয় কমবে – এমন বক্তব্যের সঙ্গে অবশ্য একমত নন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তাদের মতে, এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে বরং খরচ আরও বেড়ে যেতে পারে। কারণ ১৫ শতাংশ ভ্যাট থাকলে সেটির বিপরীতে রিবেট পান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ভ্যাট ১৫ শতাংশের নীচে নেমে গেলে রিবেট হয় না। ফলে অনেক খরচ তখন তারা সমন্বয় করতে পারে না। এমন ক্ষেত্রে তাদের ব্যয় বাড়তেই থাকে।
গত বছর সরকার ইন্টারনেটের ভ্যাট থেকে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা আয় করে।
মোস্তাফা জব্বার মনে করছেন, নতুন হার কার্যকর হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। একই সঙ্গে গ্রাহক ব্যবহার বাড়ালে সরকারের আয়ও বাড়বে।